সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর এবার ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডির শমনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে তাঁর আবেদন গ্রহণ না করায় শনিবার ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে পুনরায় আবেদন করলেন সোরেন।
একটি আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ এবং PMLA (Prevention of Money Laundering Act)-এর আওতায় বয়ান রেকর্ড করার জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে তলব করে ইডি। গত ১৪ আগস্ট তাঁকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রাঁচির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়। কিন্তু ইডির দফতরে না গিয়ে সোরেন সরাসরি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু ১৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ তাঁর আবেদন ফিরিয়ে দেয়। তবে এই আবেদন নিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতাকে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের শরণাপন্ন হওয়ার অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত।
এরপর শনিবার সোরেনের পক্ষের আইনজীবী পীযূষ চিত্রেশ ইডির শমনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে পিটিশন জমা দেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও বারকয়েক ইডির শমন এড়িয়েছেন সোরেন। এর আগে রাজ্যের প্রতিরক্ষা বিষয়ক একটি জমি দুর্নীতি মামলাতেও মুখ্যমন্ত্রী সোরেনকে তলব করে ইডি। কিন্তু পূর্বপরিকল্পিত কর্মসূচীর কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়ান সোরেন। তবে গত বছর ১৭ নভেম্বর রাজ্যের বেআইনি খনি নিয়ে অন্য একটি আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডির পাঠানো শমনে সাড়া দিয়ে তাদের দফতরে হাজিরা দেন সোরেন। সেবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) নেতাকে প্রায় ৯ ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
ঝাড়খণ্ডের শাসকদল জেএমএম-এর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার এই অতিসক্রিয়তা নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই দুষছে জেএমএম। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি স্বাভাবিকভাবেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে সোরেনকে পাল্টা ‘দুর্নীতির রাজা’ বলে তোপ দেগেছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী সোরেন কোনো আদালতেই সুরক্ষা পাবেন না। একদিন না একদিন তাঁকে ইডির তদন্তের সম্মুখীন হতেই হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন