আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে SEBI তদন্তের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। শুক্রবার, দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, 'যে অভিযোগ উঠেছে, সেগুলি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)-কে দিয়ে খুব ভালোভাবে তদন্ত করানো হোক। কারণ, এই দুটি সংস্থা ভারতীয় আর্থিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা এবং সুরক্ষার জন্য দায়বদ্ধ। জনস্বার্থে এই তদন্ত (Investigation) প্রয়োজন।'
তিনি বলেন, 'এলআইসি (LIC) ও স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)- র সঙ্গে আদানি গ্রুপের একটি সম্পর্ক আছে। তাই, এই দুটি মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাজারে আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য এই তদন্ত খুবই জরুরি।'
অভিযোগের সুরে জয়রাম রমেশ বলেন, 'আমরা বিজেপি সরকার ও আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group) ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে সব জানি। তবে, এই আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ খুবই উদ্বেগজনক। আর, সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হল, মোদী সরকারের আমলে আদানি গোষ্ঠীকে বিশাল বিনিয়োগ করেছে এলআইসি, এসবিআই এবং অন্যান্য পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলি। এর ফলে, ভারতের আর্থিক ব্যবস্থা বিশাল ঝুঁকির মুখে পড়েছে।'
তিনি বলেন, 'আদানি গোষ্ঠীকে উদারভাবে অর্থায়ন করেছে এই প্রতিষ্ঠানগুলি। LIC-র ৮ শতাংশের মতো ইক্যুইটি শেয়ার আদানি গ্রুপের অধীনে রয়েছে। এই অর্থের পরিমান অনেকটাই বেশি, প্রায় ৭৪,০০০ কোটি টাকা।'
কংগ্রেস নেতা জানান, 'এই ব্যবস্থা কোটি কোটি ভারতীয়কে আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে, কারণ এই দুটি সংস্থায় তাঁরা নিজেদের সব সঞ্চয় ঢেলে দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ভুল তথ্য দিয়ে বাজারকে প্রভাবিত করেছে। এর মাধ্যমে তারা বাজারে নিজেদের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে। তারপর সেই শেয়ারের মাধ্যমে মার্কেট থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছে আদানি গোষ্ঠী। আর, তা জানাজানির পর আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম কমতে শুরু করেছে। এটি বেশিদূর এগোলে SBI-এর মতো ব্যাঙ্কগুলিও ভারী ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে৷'
তিনি আরও বলেন, 'মোদীর বন্ধুদের উত্থান কিভাবে বৈষম্যকে বাড়িয়ে তুলেছে, তা জানেন সকল ভারতীয়। তবে, কিভাবে তাঁদের কষ্টার্জিত সঞ্চয় বিনিয়োগ করা হয়েছে, এবার তা বোঝার সময় এসেছে।' এরপরেই, কংগ্রেস নেতা রমেশ বলেন, 'আরবিআই কি নিশ্চিত করবে, আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকিগুলি তদন্ত করা রয়েছে?'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন