হিমাচল প্রদেশে রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হল। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন চলাকালীন দলীয় হুইপ না মানায় কংগ্রেসের ৬ বিদ্রোহী বিধায়কের বিধায়কপদ খারিজ হয়ে যায়। শনিবার এই ৬ বিদ্রোহী বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলেন। সূত্র অনুসারে, আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে এঁরা বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
যে ৬ কংগ্রেস বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়েছিল তাঁরা হলেন সুধীর শর্মা, রবি ঠাকুর, রাজেন্দ্র রানা, ইন্দার দত লখনপাল, চৈতন্য শর্মা এবং দেবিন্দার কুমার ভুট্টো।
এর আগে গতকাল হিমাচল বিধানসভার তিন নির্দল বিধায়ক আশিস শর্মা, হোসিয়ার সিং এবং কে এল ঠাকুর বিধায়কপদ থেকে ইস্তফা দেন। এঁরা সকলেই সাম্প্রতিক রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন। ইস্তফা দেবার পর সংবাদমাধ্যমে হোসিয়ার সিং জানিয়েছেন, তাঁরা সকলেই বিধায়কপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন এবং আসন্ন উপনির্বাচনে তাঁরা বিজেপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
উল্লেখ্য গত মাসে রাজ্যসভা নির্বাচনে এই ৯ বিধায়কের সমর্থনে কংগ্রেস প্রার্থী পরাজিত হন এবং বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়। যে ঘটনার পর কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু চাপে পড়ে যান।
হিমাচল প্রদেশ বিধানসভায় মোট আসনসংখ্যা ৬৮। যার মধ্যে ৬ কংগ্রেস বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সদস্যসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬২। তিন নির্দল বিধায়কের ইস্তফা গৃহীত হলে তা আরও কমে দাঁড়াবে ৫৯। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন হবে ৩০ বিধায়কের সমর্থন। হিমাচল বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ৩৯ থেকে কমে বর্তমানে হয়েছে ৩৩ এবং বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৫। যদিও উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হবার পর বোঝা যাবে হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস সরকারের ভবিষ্যৎ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন