সিএএ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে বিরোধীদের নিশানা করলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পাশাপাশি যাঁরা এখনও আইন মেনে সিএএ-তে আবেদন করেননি তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের হুঁশিয়ারিও দিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
সোমবার সাংবাদিকদের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, সিএএ বিরোধী আন্দোলন নিয়ে অনেক কিছুই হয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫ জন। আর সিএএ চালু হওয়ার চার মাস পর মাত্র ৮ জন আবেদন করেছেন। যার মধ্যে ২ জন কেবল এসেছিলেন ইন্টারভিউ দিতে। যাঁরা সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন তাঁদের দাবি ছিল, এই আইনের মাধ্যমে ৩০-৫০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু দেখুন ঠিক কতজন আবেদনপত্র জমা করেছেন।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি অনেক মানুষের সাথে দেখা করেছি। তাঁরা আমাকে জানান ভারতীয় নাগরিকত্ব সম্পর্কে তাঁরা নিশ্চিত। আদালতেও ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য প্রস্তুত তাঁরা।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, সিএএ আইন অনুসারে যাঁরা ২০১৫ সালের আগে ভারতে এসেছেন তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার প্রথম অধিকার রয়েছে। আবেদন না করলে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করব। আর যাঁরা ২০১৫ সালের পর ভারতে প্রবেশ করেছে তাঁদের নির্বাসিত করব।
২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাশ করে মোদী সরকার। সংসদের দুই কক্ষে পাশ করানোর পর এই বিলে সম্মতি দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যাতে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যায়। ২০১৯ সালে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫ জন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে সিএএ আইন চালু করে কেন্দ্র সরকার। তারপর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন