বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজো চালিয়ে যেতে পারবেন হিন্দুরা। সোমবার এলাহবাদ হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হল। এর আগে বারাণসী জেলা আদালতের পক্ষ থেকে মসজিদে পুজো চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এলাহবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মুসলিম পক্ষ।
সোমবার এলাহবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়ালের একক বেঞ্চ জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের দক্ষিণ দিকে ‘ব্যাসজি কা তহখানা’য় হিন্দুদের পুজো চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। বিচারপতি এদিন জানান, “ব্যাস তেহখানা'তে হিন্দু প্রার্থনা অব্যাহত থাকবে।"
গত ১ ফেব্রুয়ারি জেলা আদালতের বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেসের নির্দেশে আপত্তি জানিয়ে এলাহবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। সেই মামলার রায় ঘোষণা হল সোমবার।
মামলা দায়ের করার সময় মুসলিম পক্ষের যুক্তি ছিল, ১৯৩৭ সালে জ্ঞানবাপী সংক্রান্ত বিবাদের রায় মুসলিমদের পক্ষেই গিয়েছিল। এই আবহে আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে নতুন করে এখানে সমীক্ষাই চালাতে পারে না। এমনকী বারাণসী আদালতের নির্দেশে করা ‘অ্যাডভোকেট কমিশনার’-এর রিপোর্টকে উপেক্ষা করেই পুজোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয় আবেদনে। তবে আদালতের তরফে কোনো যুক্তিই গৃহীত হয়নি।
অন্যদিকে, এই মামলায় শৈলেন্দ্রকুমার পাঠক ব্যাস নামে ওই বংশের পুরোহিত আদালতে জানান, ১৯৯৩ সালের শুরু পর্যন্ত তাঁরা ওখানে পুজো করেছেন। তখন পুরোহিত ছিলেন সোমনাথ ব্যাস। শৈলেন্দ্র সোমনাথের উত্তরাধিকারী হিসাবে আবার পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক।
এদিকে মুসলিম পক্ষের তরফ থেকে হিন্দুরের সমস্ত দাবি মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, ১৯৯৩ সালের আগে জ্ঞানবাপী চত্বরের কোথাও পূজার্চনা বা আরতির কোনও প্রমাণ হিন্দুপক্ষ দিতে পারেনি। যদিও সেই সমস্ত যুক্তি খারিজ করে মসজিদ চত্বরে হিন্দুদের পুজো চালানোর নির্দেশ দেওয়া হল এলাহবাদ হাইকোর্টের পক্ষ থেকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন