মধ্যপ্রদেশে এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) নেতা মিলিন্দ পারন্দে বলেন, হিন্দু যুবকদের বিয়ের পর কমপক্ষে দুই-তিনটি সন্তান থাকা উচিত কারণ তাদের জনসংখ্যা হ্রাস পেলে “অস্তিত্বের সংকট” দেখা দেবে। মিলিন্দ পারন্দে খন্ডোয়ায় ভিএইচপি এবং বজরং দল আয়োজিত হিন্দু যুব সম্মেলনে বক্তৃতার সময় এমনই মন্তব্য করেন।
তাঁর কথায় – “প্রত্যেক যুবকের মনে রাখতে হবে যে, বিয়ের পর প্রতিটি হিন্দু পরিবারে অন্তত দুই থেকে তিনটি সন্তান থাকা উচিত। জনসংখ্যা কমে গেলে হিন্দুদের জন্য বিপদ। তাই শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির জন্য নয়, বরং সমাজের সুরক্ষার জন্য প্রতিটি হিন্দু পরিবারে দুই থেকে তিনটি সন্তান থাকা উচিত।
ওই সভায় আধুনিক শিক্ষার বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন ভিএইচপি নেতা। তাঁর মতে, ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতের অতীত গৌরবকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। তারা এমন শিক্ষা পদ্ধতি প্রণয়ন করেছিল যাতে করে নিজেদের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে হিন্দু সমাজ। মিলিন্দ বলেন, “তারা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কলুষিত করেছে… যে সমাজ তার পূর্বপুরুষদের জন্য লজ্জিত বোধ করে সেই সমাজ বেশিদিন টিকে থাকতে পারে না।”
মিলিন্দ পারন্দে দাবি করেছেন যে – “হিন্দুর জনসংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে এবং ধর্মান্তরিত হওয়ার বিপদ বাড়ছে। মুসলমানদের জনসংখ্যাও বাড়ছে। ইতিহাসে আছে যে হিন্দু জনসংখ্যা কমলে দেশের অখণ্ডতার জন্য হুমকি। হিন্দুদের উচিত প্রচুর পরিমাণে সংখ্যা বাড়ানো, যাতে দেশ আবার ভাগ না হয়।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হরিদ্বারে আয়োজিত এক ‘ধর্ম সংসদে’ প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে মুসলিমদের হত্যার ডাক দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে সমালোচনা শুরু হলে বেশ কয়েকদিন পর জিতেন্দ্র সিং ত্যাগীর বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআর দায়ের করা হয়। গতকাল জিতেন্দ্র ত্যাগীকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরাখণ্ড পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন