বলপূর্বক নাবালিকার হাত ধরে রেখে প্যান্টের জিপ খুলে যৌনাঙ্গ দেখানো যৌন নির্যাতন নয়। Protection of Children from Sexual Offences বা POCSO আইনে উল্লেখিত যৌন নির্যাতনের আওতায় তা পড়েনা। বোম্বে হাইকোর্টের এই রায় ঘিরে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারি বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়াল ৫০ বছরের এক ব্যক্তির আবেদনের শুনানিতে এই রায় ঘোষণা করেছিলেন। পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির মামলায় ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল দায়রা আদালত। লিবনুস কুজুর নামের ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিল আদালত।
নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন কুজুর। সেখানে বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়াল বলেন, জোর করে হাত ধরে রাখা এবং প্যান্টের জিপ খুলে যৌনাঙ্গ দেখানো যৌন নির্যাতনের আওতায় পড়ে না। তাঁর ব্যাখ্যা, POSCO আইনে যৌন নির্যাতনের সংজ্ঞায় "বিনা অনুমতিতে যৌন ইচ্ছায় শিশুর শরীর স্পর্শের" কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, "প্রসিকিউশন সাক্ষী (শিশুটির মা) আদালতে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত একহাতে শিশুটির হাত ধরেছিলেন এবং অন্য হাতে নিজের প্যান্টের জিপ খুলেছিলেন। যৌন নির্যাতনের সংজ্ঞায় এটা খাপ খাচ্ছে না। অপরাধীর অপরাধ প্রমাণের জন্য বর্তমান ফ্যাক্টগুলো পর্যাপ্ত নয়।"
এর আগে ১২ বছরের এক কিশোরীর যৌন হেনস্থার মামলায় বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়াল বলেছিলেন, জামাকাপড় খুলিয়ে বা জামাকাপড়ের ভেতর দিয়ে তাদের বুক বা গোপনাঙ্গ স্পর্শ না করা হলে সেটা যৌন নির্যাতন নয়। যৌন নির্যাতনের জন্য ত্বকের সাথে ত্বকের স্পর্শ হতে হবে। যদিও বোম্বে হাইকোর্টের এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন