সংসদের নিম্নকক্ষে (লোকসভা) সাংসদদের বসার জায়গায় ঢুকে পড়া যুবকদের মধ্যে একজন কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার হয়ে আইটি সেলে কাজ করতেন। এমনটাই অভিযোগ কর্ণাটক কংগ্রেস-এর।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেস মুখপাত্র এম লক্ষ্মণ বলেন, যে যুবক দর্শক গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, মনোরঞ্জন নামের সেই যুবক মাইসোর-কোদাগু-র বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার ঘনিষ্ঠ। পাশাপাশি ওই বিজেপি সাংসদের সাথে মনোরঞ্জন মাইসোর, মাদিকেরি এবং নয়াদিল্লিতে বৈঠকও করেছিলেন।
লক্ষ্মণ আরও বলেন, "আমরা জানি না যে এই বৈঠকগুলি কখন এবং কবে হয়েছিল। বিজেপি সাংসদের কার্যালয়ে তল্লাশি করা উচিত। এটি জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি বিষয়। তারা যদি নথি এবং প্রমাণ চান তাহলে সবকিছু দিতে আমরা প্রস্তুত। প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই আমরা বিবৃতি দিই"।
গোটা ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি প্রতাপ সিমহার। গতকালের ঘটনায় যুক্তরা প্রতাপ সিমহার কাছ থেকেই দর্শকাসনের জন্য পাস পেয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র বলেন, কেন সাংসদ প্রতাপ সিমহা এই বিষয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছেন? কোনো ছোটো ঘটনা ঘটলেও সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের প্রতিক্রিয়া দেন। এত বড় ঘটনায় চুপ থাকার কারণেই বিষয়টি আরও সন্দেহজনক লাগছে। এটা যদি কোনো মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তি হতেন বা কোনো কংগ্রেস সাংসদ যদি এই পাস ইস্যু করে থাকতেন তাহলে গোটা দেশ হাতে অস্ত্র তুলে নিত। তাঁরা কীভাবে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে গিয়ে এই ধরণের ঘটনা ঘটালেন? তাঁদের কাজ দেখে মনে হচ্ছে সম্পূর্ণটাই পূর্বপরিকল্পিত।
সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনকাণ্ডে এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং সংসদে বলেন, শাসক বিরোধী উভয় পক্ষের সাংসদদের উচিত সবকিছু যাচাই করার পর কাউকে পাস দেওয়া।
(Except the last paragraph, this story has not been edited by People's Reporter and is translated and published from a syndicated feed.)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন