হেফাজতে কীভাবে খুন আতিকরা? যোগীর পুলিশকে নোটিশ পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

গত শনিবার প্রয়াগরাজের হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকআপে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিক সেজে তিন দুষ্কৃতী দুই ভাই আতিক-আশরাফকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
আতিক আহমেদ
আতিক আহমেদছবি - সংগৃহীত
Published on

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় কীভাবে প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরফকে প্রকাশ্যে গুলি করল ৩ আততায়ী? তা জানতে চেয়ে, মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে নোটিস পাঠিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই (PTI) জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের পুলিশের ডিআইজি সহ পুলিশ কমিশনারের কাছে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে।

গত শনিবার রাতে প্রয়াগরাজের হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকআপে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিক সেজে তিন দুষ্কৃতী দুই ভাই আতিক-আশরাফকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের একাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, যোগীরাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট চেয়ে নোটিস পাঠাল যোগীর প্রশাসনকে।

ওই নোটিশে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চাওয়া হয়েছে। নোটিসে উল্লেখ, এই হত্যাকাণ্ডের সময়, স্থান সহ কী কারণে এমন ঘটনা তা জানাতে হবে। পাশাপাশি মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ এবং এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তার নথি চাওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে গ্রেফতার ও পরিদর্শন মেমোর নথি, গ্রেফতারের তথ্য পরিবার সদস্যদের দেওয়া হয়েছিল কিনা, তাও জানতে চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন। মৃত ব্যক্তির কাছে থেকে কোনও কিছু বাজেয়াপ্ত বা উদ্ধার করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে কমিশন। মৃত ব্যক্তির মেডিক্যাল লিগ্যাল সার্টিফিকেটের কপি সহ তার বিরুদ্ধে তদন্তের রিপোর্ট ও জিডি এক্সট্র্যাক্টের তথ্য (যা ইংরেজি ও হিন্দিতে অনুবাদ) রয়েছে, তাও চাওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই নিহত প্রাক্তন সাংসদ আতিকের আইনজীবী বিজয় মিশ্র বলেন, ‘সুরক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন আতিক আহমেদ (৬০)। তাকে ভুয়ো এনকাউন্টারে হত্যা করতে পারে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ - সুপ্রিম কোর্টের কাছে সেই আশঙ্কা আগেই করেছিলেন তিনি।’

আতিকের আইনজীবী জানান, খুনের কথা আগেই আন্দাজ করে তাই দু’টি চিঠি লিখে তা এক বিশ্বস্ত সঙ্গীর কাছে গচ্ছিত রেখেছিলেন আতিক। নির্দেশ ছিল, তাঁকে যদি খুন করা হয়, তবে ওই চিঠি যেন ‘যথাস্থানে’ পৌঁছায়। চিঠি শীঘ্রই যথাস্থানে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন বিজয়।

আতিক আহমেদ
আতিক-আশরাফ হত্যাকাণ্ডের মামলার আবেদন গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট, শুনানি ২৪ এপ্রিল

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in