প্রতিশ্রুতি মতো ক্ষমতায় এসে কতজন কাশ্মীরি পণ্ডিতকে জম্মু-কাশ্মীরে ফেরাল কেন্দ্র? বা কতজন ফিরে গিয়েছেন? এবার এই প্রশ্ন তুলে সরব হলেন বিরোধীরা। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরে দ্রুত নির্বাচন করে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিও জানান তাঁরা। প্রসঙ্গত, ৮ বছর আগে বিজেপি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় পুনর্বাসন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই প্রশ্ন তুললেন বিরোধীরা।
মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনেই ছিল জম্মু-কাশ্মীরের বাজেট পেশ নিয়ে আলোচনা। কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি বলেন যে, জম্মু-কাশ্মীরে গত তিন বছর ধরে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। কিন্তু রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের করার কারণ কেন্দ্র ৩৩ মাসে ছুঁয়েছে । এই সংসদে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ জম্মু-কাশ্মীরকে দ্রুত রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এখনও সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি। এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলের প্রশ্ন, ‘জম্মু-কাশ্মীরের বেকারত্বের হার প্রায় ২৪ শতাংশ। সাত বছরে কেন্দ্র কী করেছে কাশ্মীরের জন্য!’
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘কাশ্মীর ফাইলস’ নামে একটি সিনেমা। যেখানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বিতাড়নের বিষয়টি দেখানো হয়েছে। আর তারপর শোরগোল পড়েছে দেশে। প্রশ্নের মুখে নরেন্দ্র মোদী সরকারের পণ্ডিত পুনর্বাসন নীতি। সুপ্রিয়া সুলে জানান - ‘সরকার পণ্ডিতদের কথা ভাবলে বাজেটে পণ্ডিতদের উল্লেখ থাকত। কিন্তু তা নেই।’ পরে বিতর্কের জবাবে নির্মলা জানান, ‘ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পণ্ডিত কাশ্মীরে ফিরে এসেছেন। পণ্ডিতদের পুর্নবাসনের কাজ চলছে।’’
নির্মলা অবশ্য পণ্ডিতদের জন্য কী করা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দেন। জানান, কাশ্মীরে ফিরে আসা পণ্ডিতদের জন্য ১০২৫ টি নিরাপদ বাসস্থান তৈরি করেছে সরকার। আরও ১৪৪৮টি বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। উপত্যকায় ৪৬৭৮ জন পণ্ডিতের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন