উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের 'আব্বাজান' মন্তব্যে এখনও উত্তাল হয়ে রয়েছে জাতীয় রাজনীতি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব - অনেক বিরোধী নেতাই যোগীর এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন। এছাড়াও নেটিজেনরাও অভিনব উপায়ে যোগীর মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন।
রাহুল গান্ধী নিজের ট্যুইটারে হিন্দিতে যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করে লেখেন, "যিনি এতো হিংসে করেন, তিনি কেমন যোগী!"
বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব নিজের ট্যুইটারে যোগী আদিত্যনাথকে প্রশ্ন করেছেন, "কথিত যোগীজী বলুন, যাঁরা 'পিতা জান' বলে ডাকেন তাঁদের কতজনকে চাকরি, কর্মসংস্থান, সুশিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে? আপনারা বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতি এবং কৃষকদের ইস্যুতে কথা বলেন না কেন? নির্বাচনের সময় তুষ্টিকরণ এবং বক্তব্যের মাধ্যমে সন্ত্রাস ছড়ানো ছাড়া এঁদের আর কোনো যোগ্যতা নেই।"
প্রসঙ্গত, সোমবার উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেন, "আজ আপনারা সবাই রেশন পাচ্ছেন। ২০১৭ সালের আগে কি এই রেশন পেতেন আপনারা? যারা 'আব্বাজান' বলে ডাকেন, তখন সব রেশন তাঁরা হজম করতেন। সেই সময় কুশিনগরের রেশম বাংলাদেশ এবং নেপালেও পৌঁছানো হতো। আজ যদি কেউ গরিবের রেশন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, তাহলে তাঁকে জেলে যেতে হবে। আমরা এই অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছি।"
উল্লেখ্য, মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকেরা তাঁদের বাবাকে 'আব্বা জান' বলে ডাকেন।
যোগীর এই মন্তব্যের নিন্দা জানাতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভারতের ট্যুইটারে ট্রেন্ডিংয়ে ছিল #AbbaJaan এবং #HamareAbbaJaan হ্যাশট্যাগ দুটি। একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি সহ আমজনতা এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে তাঁদের বাবার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন এদিন।
যেমন অবসরপ্রাপ্ত বিদেশ সচিব নিরুপমা মেনন রাও তাঁর বাবার ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করে লিখেছেন, "আমার বাবা, ১৯৪১ সালে যখন সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। আজ আমি যা হতে পেরেছি, উনিই তা করেছেন। আমার #AbbaJaan"
মিডিয়াকর্পের চিফ কমার্শিয়াল অ্যান্ড ডিজিটাল অফিসার পরমিন্দর সিংও তাঁর বাবার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এই জোয়ারে গা ভাসিয়েছেন লেখক রানা সাফভি, সাংবাদিক সাবা নকভি সহ অনেকেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন