“গত ১০ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে কত সৈন্য মারা গেছেন?” –কেন্দ্র সরকারের কাছে সেই তথ্য প্রকাশের দাবি জানালেন শিবসেনার (উদ্ধব ঠাকরে) সাংসদ সঞ্জয় রাউত। পাশাপাশি, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর ওই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন সাংসদ।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সঞ্জয় রাউত বলেন, "বর্তমান কেন্দ্র সরকারের আমলে জম্মু ও কাশ্মীরে সর্বাধিক সৈন্যরা প্রাণ হারিয়েছেন। ১০ বছর আগে এই সরকার গঠনের সময় থেকে, বিশেষ করে ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে।"
এরপরেই তিনি জানান, “যাঁরা দেশের জন্য তাঁদের জীবন বলিদান দিয়েছেন, এমন সৈন্যের সংখ্যার তথ্য চাই।“
বারবার উপত্যকা অঞ্চলে জঙ্গি হামলা হচ্ছে যেন এই নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে জবাবদিহি করার দাবিও তোলেন সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, “এটা (আক্রমণ এড়ানো) কার দায়িত্ব? দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর।“
উল্লেখ্য, সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার প্রত্যন্ত মাছেদি এলাকায় সেনা কর্মীদের টহলদারি চালানোর সময় আচমকাই জঙ্গলের মধ্যে থেকে আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। প্রথমে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়, তারপর এলোপাথাড়ি গুলি। পাল্টা গুলি চালায় সেনা বাহিনী। এই আক্রমণের ফলে নিহত হয়েছেন ৫ জন সেনা। আহত ৬ জন।
এর আগে শনিবার কুলগ্রামে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২ সেনা। আহত হয়েছেন একজন সেনা। পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে চারজন জঙ্গিকে খতম করেছেন জওয়ানরা। এরপর রবিবার রাজৌরিতে সেনা ক্যাম্প লক্ষ্য করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এই হামলার ঘটনায় একজন আহত হন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, গত মাসে অমরনাথ যাত্রার পথে পুণ্যার্থীদের বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলার ফলে বাসটি খাদে পড়ে যায়। যার ফলে ন’জন পুণ্যার্থী নিহত হন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন