হায়দ্রাবাদের জুবিলি হিলসে ১৭ বছরের নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে নয়া মোড়। তদেন্তে নেমে পুলিস বেশ কয়েকজন অভিযুক্তের সন্ধান পেয়েছে। তার মধ্যে বিধায়ক এবং প্রভাবশালী নেতার পুত্রের নামও রয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের ভূমিকা যাচাই করছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে জুবিলি হিলসের একটি পাবে পার্টি করতে গিয়েছিলেন ১৭ বছরের এক নাবালিকা। সেখানে অভিযুক্তদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। অভিযুক্তেরা গাড়ি করে তাঁকে বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ি যাওয়ার নাম করে অভিযুক্তরা নাবালিকাকে একটি নির্জন অন্ধকার জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানেই তাকে অভিযুক্তরা পালা করে ধর্ষণ করে।
ভয়ের কারণে প্রথমে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়নি ওই কিশোরী। প্রাথমিক ভাবে শ্লীলতাহানির মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে গিয়ে জানা যায় ধর্ষণ করা হয়েছে ওই কিশোরীকে। তারপরই এফআইআর-এ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ নম্বর ধারাও যোগ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনেও গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের প্রত্যেকের নাম না বলতে পারলেও একজনের নাম বলতে পেরেছে কিশোরী। সেই সূত্র ধরে এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
জানা গেছে, গত ২৮ মে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তের বিধায়ক বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল পুলিশ। তবে, এই ঘটনায় ‘গুণধর’ পুত্রের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
নাবালিকার বাবা অভিযোগে করেছেন, জুবিলি হিলসের একটি পাবে পার্টিতে করার পরে কয়েকটি ছেলের সাথে একটি গাড়িতে বাড়ি ফিরেছিল তাঁর মেয়ে। তখন মেয়ের ঘাড়ে ক্ষতচিহ্ন দেখেছিলেন তিনি। এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে নাবালিকাটি জানায় তিন-চারজন ছেলে তাকে যৌন নির্যাতন করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, 'ঘটনার দিন, নাবালিকাটি তাঁর বন্ধুদের আমন্ত্রণে এবং পরিবারের সম্মতিতে পার্টিতে গিয়েছিল। যদিও পার্টিটি একটি পাব-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। অনুস্থানটি দুপুর ১ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে কোন অ্যালকোহল বা মদ ব্যবহার হয়নি। মেয়েটি তাঁর এক বন্ধুর সাথে পার্টিতে এলেও, পার্টি শেষ হওয়ার আগেই ওই বন্ধু বাড়ি চলে যায়। তাই এই ছেলেগুলো যখন তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়, মেয়েটি তাতে রাজি হয়ে যায়।
পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, পার্টি করার পর নাবালিকা সহ অভিযুক্ত যুবকেরা গাড়িতে করে বানজারা পাহাড়ের একটি বেকারিতে গিয়েছিল। তারা গাড়ীতে কিছু সময় ভ্রমণ করে। তারপর নাবালিকাকে বাড়িতে নামানোর নাম করে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে নাবালিকাটি নিজেকে মুক্ত করে বাড়িতে পালিয়ে আসে। অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করছে পুলিশ। যে গাড়িতে গণধর্ষণ করা হয়েছে সেটি আটক করা হয়েছে। গাড়িটি একটি মহিলার নামে নিবন্ধিত।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন