হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়েরই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে শনিবার পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে কার্যত উত্তাল হল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। অভিযুক্তের নাম রবি রঞ্জন, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি বিভাগের অধ্যাপক।
২৩ বছর বয়সী নির্যাতিতা থাইল্যান্ডের বাসিন্দা, সম্প্রতি স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনার সূত্রে এদেশে রয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় হিন্দি শেখানোর নাম করে ক্যাম্পাস থেকে তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান অধ্যাপক। সেখানে তাঁকে বলপূর্বক মদ্যপান করিয়ে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেন অধ্যাপক।
এই ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত হয়ে নির্যাতিতা তাঁর সহপাঠীদের পুরো বিষয়টি জানান। ইংরেজিতে পুরো বিষয়টি বর্ণনা করতে না পারায় অনুবাদের জন্য তিনি একটি অনলাইন অ্যাপ ব্যবহার করেন। বিষয়টি জানার পর অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর নির্যাতিতা সাইবরাবাদ পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে গাছিবাউলি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে অধ্যাপককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের পরিচালকও অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর বিরুদ্ধে। একজন অনুবাদকের সাহায্যে নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা (নারীর শালীনতা ক্ষুণ্ণ করার অভিপ্রায়ে তাঁকে আক্রমণ বা অপরাধমূলক বলপ্রয়োগ)-র অধীনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
কলেজ ছাত্রীর উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। অবিলম্বে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে বরখাস্ত করার দাবি জানান তারা।
শুধু তাই নয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষরও নিন্দা করে পড়ুয়ারা। তাদের অভিযোগ, উপাচার্য বা রেজিস্ট্রার কেউই নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষার্থীরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন