আগামী ১০ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তার আগে 'রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ' মামলার রায় নিয়ে মন্তব্য করলেন তিনি। এই মামলার সমাধান পেতে ঈশ্বরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। যা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের খেদ তালুকে নিজের আদি গ্রাম কানহেরসারে সম্বর্ধনা নিতে গিয়ে অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, 'এই মামলার রায় দেওয়ার সময় ঈশ্বরের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আমার যদি ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস থাকে তাহলে ঈশ্বরই পথ দেখাবেন। তিনিই সমাধানের পথ বের করে দিয়েছেন'।
তিনি বলেন, "প্রায়শই আমাদের সামনে এমন মামলা আসে যেগুলির সমাধান আসলে আমরা করিনা, ঈশ্বর করিয়ে দেন। রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে। বিতর্কটি তিন মাস আমার সামনে ছিল। আমি দেবতার সামনে বসে তাঁকে বললাম, আপনাকেই এই সমস্যার একটা সমাধান বের করে দিতে হবে। আমি নিয়মিত এভাবে প্রার্থনা করতাম। তারপরেই সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।"
ধর্মনিরপেক্ষ দেশে প্রধান বিচারপতির মতো সাংবিধানিক এবং সর্বজনশ্রদ্ধেয় পদের আধিকারিকের এই মন্তব্যের সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি। কংগ্রেস নেতা উদিত রাজ বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বলেছেন যে তিনি অযোধ্যা সমস্যার সমাধানের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। আমি বলছি তিনি যদি অন্যান্য সমস্যার জন্য প্রার্থনা করতেন তাহলে সমস্যার সমাধান হত। একজন অতি সাধারণ মানুষও তাহলে হাইকোর্ট বা সুপ্রিমকোর্টে দ্রুত ন্যায়বিচার পেয়ে যেতেন।'
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ৫ বিচারপতির বেঞ্চ রাম মন্দিরের পক্ষে রায় ঘোষণা করেছিল। কিন্তু তখন প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। ওই বেঞ্চের সদস্য ছিলেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন