বিজেপি আগে জানালে ভেবে দেখতাম। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থনের প্রশ্নে এই কথাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওড়িশা'র সাঁওতাল পরিবার থেকে উঠে আসা ঝাড়খন্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট।
শুক্রবার কলকাতায় ইস্কন মন্দিরের রথযাত্রার উদ্বোধনে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের সূচনা করার সময় সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন যে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একদিকে আছেন যশবন্ত সিনহা, অন্যদিকে আছেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি কাকে সমর্থন করবেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা জানান, "আমি এখনও মনে করি যে, আমাকে যদি বিজেপি আগে থেকে জানাত যে একজন প্রান্তিক আদিবাসী মহিলাকে তারা প্রার্থী করছে তাহলে আমরাও চেষ্টা করতাম। আমরা একসাথে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। বিজেপি যখন আমাকে ফোন করেছিল তখন আমাদের সাজেশন ওরা জানতে চেয়েছিল। কিন্তু ওদের সাজেশন আমাদের জানায়নি।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, "মহারাষ্ট্রের ঘটনার পরে দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। বৃহত্তর স্বার্থে আমরা ১৭টা দল মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। বিরোধীরা সবাই এখন যা সিদ্ধান্ত নেবেন আমি সেটাই মেনে চলব।"
তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের জেরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধী ঐক্য নিয়েও প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী বাছার জন্য মমতা ব্যানার্জী নিজের উদ্যোগে দেশের প্রথম সারির বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিরোধী শিবির থেকে সম্মিলিতভাবে একজনকে প্রার্থী করা। মমতা ব্যানার্জী এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু তিনিও সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। এমনকি একাধিক দল মমতার ডাকা বৈঠক এড়িয়েও গিয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন