ভোট দেওয়া আটকাতে অপহরণে সাহায্য করছিলেন উন্নাওয়ের মুখ্য উন্নয়ন আধিকারিক দিব্যাংশু প্যাটেল। আর তাঁর এই কুকীর্তি ক্যামেরাবন্দী করছিলেন এক সাংবাদিক। প্রথমে হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলেও থামেননি সাংবাদিক কৃষ্ণা তিওয়ারি। শাস্তিস্বরূপ সকলের সামনেই তাঁকে বেধড়ক মারধোর করেন আইএএস অফিসার। সাংবাদিকে হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন।
পুরো ঘটনাটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। উন্নাওয়ের জেলাশাসক অভিযুক্ত আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, শনিবার উত্তরপ্রদেশে ব্লক পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচন ছিল। রাজ্যের ৪৭৬ টি ব্লকের মধ্যে ৩৪৯ টি ব্লকেই কোনও লড়াই হয়নি। এরপর, ৩৩৪ টি ব্লকে জয়লাভ করে গেরুয়া শিবির। এক্ষেত্রে বিরোধী পক্ষের অভিযোগ ভোটগণনায় কারচুপি করা হয়েছে। আর যার জেরেই জিততে পেরেছে বিজেপি। সাংবাদিককে মারার ঘটনাকেও প্রকাশ্যে তুলে ধরেছেন বিরোধীপক্ষরা।
সাংবাদিক জানিয়েছেন, প্রার্থীকে অপহরণ করা হচ্ছিল। আর তাতে সাহায্য করছিলেন আইএএস অফিসার। সেই মুহূর্তের ভিডিও ক্যামেরাবন্দী করেন তিনি। নজরে আসতেই সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন তারা। এই ঘটনায় লখনউয়ের প্রশাসনিক আধিকারিকরা জেলাশাসকের কাছে থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।রিপোর্ট পাওয়ার পরই অভিযুক্ত আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সিডিও-র বক্তব্যও শুনতে চাইছে প্রশাসন।
এটাওয়া-র এসএসপি ব্রজেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, 'ভোটের দিন উত্তেজিত জনতাকে পোলিং বুথের দিকে আসতে বারণ করা হলে ইটবৃষ্টি ও গুলিচালনা শুরু করে। পুরো ঘটনা সিসিটিভিতে রেকর্ড হয়েছে। নির্বাচন শেষ হলে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনায় একটি মামলাও করা হবে দ্রুত।'
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন