লখিমপুরে কৃষক হত্যা কাণ্ডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে জামিন পেয়েছেন। তাই কোনওভাবেই বিজেপিকে ক্ষমতায় ফিরতে দেওয়া যাবে না। এটাই তাদের অঙ্গীকার। এমনটাই জানালেন সংযুক্ত কিষান মোর্চার নেতারা। তাঁদের আশঙ্কা, বিজেপি ক্ষমতায় ফিরলে ফের কৃষক বিরোধী আইন লাগু হতে পারে। তাই জন্য বিজেপিকে রুখতে হবে। বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে সাজা দিন। এমনই আবেদন এসকেএমের।
সেই আর্জি সম্বলিত প্রচারপত্র নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন কৃষক সংগঠনগুলির সদস্যরা। স্থানীয় স্তরে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে ন'টি জায়গায় সমাবেশ করার কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা। 'উত্তরপ্রদেশ মিশন'-এর অংশ হিসেবে মোরাদাবাদ, মিরাটের পর ঝাঁসিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কৃষক নেতা।
কয়েকদিন আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, 'এখনও অনেক লোকের গরম কমেনি। আমি জানি কীভাবে তাদের ঠান্ডা করতে হয়।' সেই প্রসঙ্গে কিছু নেতার বক্তব্য , উনি ঠান্ডা করা কথা বললেন। আর এদিক মন্ত্রীর খুনি ছেলেকে জামিন পাইয়ে দিয়ে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দেওয়া হল।
অথচ কৃষকদের মূল দাবি ছিল লখিমপুর কাণ্ডে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা। এসবের হিসাব-নিকাশ করে উত্তরপ্রদেশের এবার কৃষকরা বিজেপিকে শাস্তি দেবে। বিজেপি সরকার শুধু কৃষকদের শোষণ করেছে তা নয়। বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কেন্দ্রের ও রাজ্যের বিজেপি সরকার লাগাতার কৃষকদের সঙ্গে মিথ্যাচার করে গিয়েছে।
কৃষকদের কথায়, এখন বিজেপি ইস্তেহার প্রকাশ করে যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, পাঁচ বছর আগে সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। আগে বলেছিল বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ দেবে। আর এখন চড়া দামে বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হচ্ছে কৃষকদের। নলকূপের জন্য গ্রামীণ মিটারে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট ১ থেকে ২ টাকা করা হয়েছে। ফিক্সড চার্জ ৩০ টাকা বাড়িয়ে ৭০ টাকা করা হয়েছে। ছাড়া গরুর হাত থেকে ফসল বাঁচাতে কৃষকদের রাতের পর রাত জাগতে হচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন