দেশজুড়ে শীতের আমেজ। এই আবহে বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকুটি। আইএমডি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আন্দামান ও নিকোবরে বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় তৈরির সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছে মৌসম ভবন।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ওই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িতে পরিণত হতে পারে গভীর নিম্নচাপে। সেই গভীর নিম্নচাপ শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়েও পরিণত হতে পারে বলে জানাচ্ছে আইএমডি। যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে এর নাম হবে ‘ফেনজল’ (Fengal)। এবারের এই নামটি সৌদি আরবের দেওয়া।
আইএমডি –এর তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় বাতাসের গতি বৃদ্ধি ও সমুদ্রের পরিস্থিতির কারণে বেশ অনেকটা শক্তি বেড়েছে ঘূর্ণবাতের। সে ক্ষেত্রে আগামী শনি বা রবিবার মূল ভারতীয় ভূখণ্ডের উপকূলে পৌঁছতে পারে ওই ঘূর্ণিঝড়। মৌসম ভবনের দেওয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, এর প্রভাব পড়তে পারে দক্ষিণ ভারতে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী দুই রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তামিলনাড়ুতে। পাশাপাশি, প্রভাব পড়তে পারে শ্রীলঙ্কার উত্তর উপকূলেও।
আইএমডি-র পূর্বাভাস অনুযায়ী, নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিমের দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং উত্তর-পশ্চিম দিকেও এগোতে পারে। পরবর্তীকালে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের নির্দিষ্ট গতিপথ সম্পর্কে এখনই কিছু জানানো হয়নি মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আছড়ে পড়লে, এর ফলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কত হতে পারে, তারও পূর্বাভাস দেয়নি আইএমডি।
উল্লেখ্য, অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। যার নামকরণ করেছিল কাতার। ‘ডানা’র প্রভাবে চাষের ব্যাপক ভাবে ক্ষতি হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন