পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে গেছে বহু মহিলার। বিহারের পূর্ণিয়া জেলার প্রায় ৪০ জন মহিলা এই দাবি করেছেন। সকলের একই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
গত ২৯ নভেম্বর পূর্ণিয়া জেলার চোপড়া পঞ্চায়েতের অধীনে রেহুয়া গ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনী পদ্ধতি অনুযায়ী, ভোট দেওয়ার আগে বায়োমেট্রিক টুলে মহিলা ভোটারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এরপরই স্থানীয় কানারা ব্যাঙ্কের শাখায় থাকা তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে যায়।
ভুক্তভোগীদের একজন দুখানী দেবি। তিনিই প্রথম এই বিষয়টির কথা জানতে পারেন। সংবাদসংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, "কানারা ব্যাঙ্কে আমার ৪৬ হাজার টাকা ছিল। ৩০ নভেম্বর কিছু টাকা তোলার জন্য ব্যাঙ্কে যাই আমি। সেখানে ক্যাশিয়ার আমাকে জানান আমার অ্যাকাউন্টে এক টাকাও নেই।"
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বহু মহিলা তাঁদের পাসবুক আপডেট করতে ব্যাঙ্কে আসেন। দেখা যায় তিন ডজনেরও বেশি মহিলার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে গেছে। সমস্ত ভুক্তভোগীর দাবি, তাঁদের গ্রামে ভোট হওয়ার দিন প্রিজাইডিং অফিসার একটি বায়োমেট্রিক টুলে তাঁদের আঙুলের ছাপ নিয়েছিলেন। এরপরই ব্যাঙ্কে তাঁদের অ্যাকাউন্টে থাকা সমস্ত টাকা উধাও হয়ে গেছে।
চোপড়া পঞ্চায়েতের প্রধান জাভেদ ইকবাল এই বিষয়ে জানিয়েছেন, "পুর্ণিয়া জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে তদন্তের অনুরোধ করেছি আমরা। এটা একধরণের ফৌজদারি অপরাধ যেখানে নির্বাচনী ডিভাইসগুলিকে লোকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিষয়ে একটি FIR দায়ের করারও অনুরোধ জানিয়েছি আমরা।"
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন