মাত্র এক বছরেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা কমেছে প্রায় ৪২ শতাংশ। গতবছর আগস্ট মাসে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইতেন ৬৬ শতাংশ মানুষ। এবছর আগস্ট মাসে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২৪ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁকেই পছন্দ করা দেশবাসীর সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের সমীক্ষা 'মুড অব দ্য নেশন'-এ তা স্পষ্ট।
অন্যদিকে জনপ্রিয়তার নিরিখে উঠে এসেছেন পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গতবছর তাঁরা ছিলেন সপ্তম ও ষষ্ঠ স্থানে। এবছর তাঁরা যুগ্ম হবে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং তৃতীয় স্থানে আছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে একটা জল্পনা রয়েছে অনেক দিন ধরেই। তিনি অবশ্য এই তালিকায় কিছুটা পিছনেই আছেন।
পঞ্চম স্থান পেয়েছেন অমিত শাহ। ওই সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানুয়ারি ও আগস্ট মাসে সমীক্ষা চালায়। জানুয়ারি মাসে যে রিপোর্ট পেশ করেছিল তাতে মোদি ৩৮ শতাংশ মানুষের পছন্দের তালিকায় ছিলেন। কিন্তু কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে নাজেহাল দেশবাসীর পাশে সেভাবে দাঁড়াতে দেখা যায়নি প্রধানমন্ত্রীকে। তাতেই জনপ্রিয়তা কমেছে তাঁর। শুধু করোনা পরিস্থিতির নয়, কৃষি আইন, বিমার বেসরকারিকরণ-সহ আরও নানা সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যোগীর প্রতি মানুষের সমর্থন বেড়েছে। ২০২০-র অগস্টে তাঁকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলেন মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ। এ বছর জানুয়ারিতে তা বেড়ে ৭ শতাংশ হয়। আগস্টে তা আরও বেড়ে ১১ শতাংশে ঠেকেছে। আবার যে বিষয়গুলো সাধারণ মানুষের পছন্দ নয়, সেগুলো নিয়ে রাহুল গান্ধী লাগাতার কেন্দ্রের বিরোধিতা করার জন্য পেয়েছেন ১০ শতাংশ মানুষের সমর্থন। গত বছরের আগস্টে ছিল ৮ শতাংশ। জানুয়ারিতে তা কমে দাঁড়ায় ৭ শতাংশ।
তাহলে এত পিছনে কেন অমিত শাহ? টিকা নিয়ে টানাপড়েন, মন্ত্রিসভার রদবদল, সংসদের অচলাবস্থা, প্রায় এক বছর তাঁকে সামনে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি। তাতেই পিছিয়ে গিয়েছেন তিনি। গতবছর অগাস্টে ৪ শতাংশ মানুষ তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। এ বছর জানুয়ারিতে তিনি পান ৮ শতাংশ ভোট। কিন্তু আগস্ট মাসে তা কমে ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন