পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমেই স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর ওই ভদ্রমহিলার অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কও হয়। আর এটাই ছিল তাঁর অপরাধ। তাই প্রাক্তন স্বামীর পরিবারের লোক তাঁকে প্রথমে অপহরণ করল। তারপর সেই পরিবারেরই এক সদস্যকে কাঁধে নিয়ে তিন কিলোমিটার পথ হাঁটতে হল। আর তা দেখে বিনোদনে মশগুল হলেন সেই গ্রামের বাসিন্দারা। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায়।
এই বর্বর ঘটনার ভিডিও-ও হয়। স্বভাবতই খুব বেশি সময় লাগেনি ভিডিওটি ভাইরাল হতে। সেই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ওই উপজাতি মহিলাকে যখন ওইভাবে হেনস্থা হতে হচ্ছিল, তখন কিছু লোক হাসিমুখে তা উপভোগ করছে! তাঁর হাঁটার গতি শ্লথ হলে কেউ কেউ লাঠি, ব্যাট দিয়ে পায়ে আঘাত করতেও দ্বিধা করছে না। আর গোটা ঘটনাই চলছে সর্বসমক্ষে।
এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুসারে গুণা জেলার সাগাই ও বন খেদি গ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার শিকার মহিলা জানিয়েছেন, পারস্পরিক সম্মতিতে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতেন। পরবর্তী সময়ে তার সঙ্গে অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। গত সপ্তাহে প্রাক্তন স্বামীর পরিবারের সদস্যরা এবং সেই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা তাঁর বাড়ি এসে তাঁকে অপহরণ করে। তারপর এই ঘটনা।
মধ্যপ্রদেশে এই ধরনের ঘটনা প্রথম নয়। গত বছর জুলাই মাসে সম্পর্ক থাকার জন্য এক মহিলাকে একইভাবে অপদস্থ করা হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন