Maharashtra: বিধানসভা অধিবেশনের পরেই অজিত শিবির ছাড়বেন ১৯ বিধায়ক - এনসিপি নেতার দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য

People's Reporter: রোহিত পাওয়ারের দাবি অনুসারে, কমপক্ষে ১৮-১৯ জন NCP বিধায়ক শারদ পাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। রাজ্য বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন শেষ হলেই তাঁরা গোষ্ঠী বদল করে তাদের দিকে চলে আসবেন।
শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ার
শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ারফাইল ছবি, সংগৃহীত
Published on

মহারাষ্ট্র বিধানসভার বাদল অধিবেশন শেষ হবার পরেই এনসিপি-র অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর ১৮ থেকে ১৯ জন বিধায়ক গোষ্ঠী বদল করবেন। সোমবার চাঞ্চল্যকর এই দাবি করেছেন এনসিপি (এসপি) গোষ্ঠীর নেতা রোহিত পাওয়ার। যিনি সম্পর্কে অজিত পাওয়ারের মতই এনসিপি প্রতিষ্ঠাতা শারদ পাওয়ারের পরিবারের সদস্য। যিনি মহারাষ্ট্র বিধানসভায় কারজাট-জামখেদ কেন্দ্রের নির্বাচিত বিধায়ক।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গতকাল রোহিত বলেন, এনসিপি-তে এমন অনেক বিধায়ক আছেন যারা গত জুলাইতে দল ভাঙার পরেও দলের প্রতিষ্ঠাতা শারদ পাওয়ার অথবা দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বের সম্পর্কে কোনও খারাপ কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, এঁরা সকলেই বিধানসভার আগামী অধিবেশনে যোগ দেবেন, নিজেদের কেন্দ্রের উন্নয়নের জন্য তহবিল সংগ্রহ করবেন। সেই কারণে তাঁরা বাদল অধিবেশন শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন। আগামী ২৭ জুন মহারাষ্ট্র বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হবে এবং শেষ হবে আগামী ১২ জুলাই। আগামী অক্টোবরে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই বিধানসভার শেষ অধিবেশন।

রোহিত পাওয়ারের দাবি অনুসারে, কমপক্ষে ১৮ থেকে ১৯ জন এনসিপি বিধায়ক শারদ পাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। রাজ্য বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশন শেষ হলেই তাঁরা গোষ্ঠী বদল করে তাদের দিকে চলে আসবেন। তখন শারদ পাওয়ার এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব বসে ঠিক করবেন কাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে এবং কাদের ফেরানো হবেনা।

২০১৯ মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে শারদ পাওয়ারের এনসিপি জয়ী হয় ৫৪ আসনে। যদিও ২০২৩-এর জুলাই মাসে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে এনসিপি-তে ভাঙনের সময় অজিত দাবি করেন তাঁর সঙ্গে ৪০ জন বিধায়কের সমর্থন আছে।  

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগেই এনসিপি অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী থেকে নীলেশ লঙ্কে এবং বজরং সোনাওয়ানে শারদ পাওয়ার গোষ্ঠীতে ফিরে আসেন। সাম্প্রতিক নির্বাচনে এই দু’জন যথাক্রমে আহমেদনগর এবং বিড কেন্দ্র থেকে এনসিপি (এসপি) গোষ্ঠীর হয়ে জয়ী হয়েছেন। এই দুই নেতার জয়ের পর ওই দুই অঞ্চলের বেশ কিছু এনসিপি অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর বিধায়ক শারদ পাওয়ারের দিকে চলে আসতে পারেন বলে আগেই গুঞ্জন উঠেছিল। গতকাল রোহিতের মন্তব্যের পর সেই গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে।

এই বিষয়ে এনসিপি (এসপি) সভাপতি জয়ন্ত পাটিল সংবাদমাধ্যমে জানান, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর এনসিপি অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর বেশ কিছু বিধায়কের শারদ পাওয়ার গোষ্ঠীতে যোগ দেবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত আমরা বিষয়টি নিয়ে সেভাবে চিন্তাভাবনা করিনি। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের নেতা শারদ পাওয়ার।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরে যোগ দিয়েও নিজের কেন্দ্র বারামতী থেকে দলকে জয় এনে দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই কেন্দ্রে অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ার এনসিপি (এসপি) প্রার্থী সুপ্রিয়া সুলের কাছে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৩৩৩ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। মোট চারটি আসনে লড়াই করলেও এনসিপি অজিত গোষ্ঠী মাত্র একটি আসনে জয়ী হয়েছে।

সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর প্রশ্ন উঠেছে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্ব নিয়েও। কারণ যারা শারদ পাওয়ারের শিবির ত্যাগ করে অজিত পাওয়ারের শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তারা ভেবেছিলেন সরকার পক্ষে থাকার কারণে দল আরও বাড়বে। যদিও সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করে দিয়েছে শারদ পাওয়ারের দিকে যারা থেকেছেন তাঁরাই এবারের নির্বাচনে লাভবান হয়েছেন। এমনকি নতুন কেন্দ্রীয় সরকারেও অজিত পাওয়ারের গোষ্ঠীকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলেই তাদের অভিমত।

শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ার
৪ বছরে লাইনচ্যুত ১,১২৭ - রেলের সুরক্ষায় একাধিক ত্রুটি উল্লেখ করে আগেই রিপোর্ট দিয়েছিল CAG
শরদ পাওয়ার এবং অজিত পাওয়ার
Bihar: ‘মুসলিম-যাদবরা ভোট দেয়নি, ওঁদের হয়ে কাজ করব না’ – বিস্ফোরক মন্তব্য JD(U) সাংসদের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in