বার বার অশান্ত হয়ে উঠছে 'ভূস্বর্গ' কাশ্মীর। সোমবার ডোডার এক জঙ্গলে সেনা জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান ১ ক্যাপ্টেন সহ ৪ সেনা জওয়ান। জম্মু কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা এই প্রথম নয়। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে গত ৩২ মাসে ৪৮ জন সেনা শহিদ হয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরে।
একনজরে বড়ো হামলার তালিকা দেখে নেওয়া যাক -
১৬ জুলাই, ২০২৪ - ডোডাতে জঙ্গি হামলায় শহিদ হন ১ ক্যাপ্টেন সহ ৪ সেনা জওয়ান।
৮ জুলাই, ২০২৪ - কাঠুয়া জেলায় গুলির লড়াইয়ে শহিদ হন ৫ ভারতীয় সেনা।
জুন, ২০২৪ - জোড়া হামলায় শহিদ হন ৬ সেনা জওয়ান।
৪ মে, ২০২৪ - পুঞ্চে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ভারতীয় বায়ুসেনার এক সৈনিক। ওই হামলায় আরও ৫ সেনা আহত হন।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ - সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান ৪ সেনা।
২২ নভেম্বর, ২০২৩ - ২ ক্যাপ্টেন সহ ৫ সেনাজওয়ান শহিদ হন গুলির লড়াইয়ে। এছাড়া গত বছর এপ্রিল এবং মে মাসে জোড়া হামলায় শহিদ হন ১০ ভারতীয় সেনা।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২১ - সেনা-জঙ্গির লড়াইয়ে শহিদ হন ৪ সেনা। এছাড়াও আরও ৪-৫ জন সেনা শহিদ হয়েছেন বলেই জানা যাচ্ছে।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখে ভাগ করা হয়। তার পরেই কাশ্মীরের পাশাপাশি জম্মুতেও ধারাবাহিক ভাবে পাক জঙ্গিদের হামলার সূচনা।
ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদী ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য এক পর্যালোচনা বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন বলে জানা গেছে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সাথে নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
- with inputs from NDTV report
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন