ফের সেতু ভাঙল বিহারে। শুক্রবার বিহারের মধুবনীতে ধসে পড়ল ৭৫ মিটার লম্বা একটি নির্মীয়মাণ সেতু। গত ন’দিনে এই নিয়ে রাজ্যে পঞ্চম সেতু বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটল। আর যা নিয়ে নীতিশ কুমারের সরকারকে আক্রমণ করল আরজেডি নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।
শুক্রবার তেজস্বী যাদব নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোষ্ট করে লেখেন, "৯ দিনের মধ্যে বিহারে পঞ্চম সেতু ভাঙল। মধুবনী-সুপলের মধ্যে নদীর উপর বছরের পর বছর ধরে নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়েছে। আপনারা কি জানেন এই খবর? জানেন না তো? কেন জানেন না? পুরো বিষয়টি বুঝুন।’’
অন্য একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘অভিনন্দন! বিহারে, ডাবল ইঞ্জিন সরকারের দ্বিগুণ ক্ষমতার কারণে, মাত্র ৯দিনেই ৫টি সেতু ভেঙে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশনায় এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে, ৬ দলের ডাবল ইঞ্জিন 𝐍𝐃𝐀 সরকার ৯ দিনের মধ্যে ৫ ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরে বিহারের জনগণকে মঙ্গলরাজের কল্যাণের জন্য শুভেচ্ছা পাঠিয়েছে।’’
নেপালের সীমান্ত বরাবর রাজ্যের উত্তরতম অংশে অবস্থিত মধুবনি জেলার ভেজা থানা এলাকা থেকে সর্বশেষ সেতু ধসের খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভেঙে পড়া সেতুটি গত দুবছরের বেশি সময় ধরে নির্মীয়মাণ অবস্থায় রয়েছে। বিহার সরকারের গ্রামীণ পূর্ত বিভাগের তরফে কোশী নদীর উপর ৩ কোটি টাকা খরচ করে ওই সেতুটি তৈরি করা হচ্ছিল। জানা গেছে কয়েকদিন আগেই ওই সেতুটির একটি পিলার ভেঙে যায়।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি, সেতুটি দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিহারের কিষাণগঞ্জ এলাকায় একটি সেতু ভেঙে পড়ে। ৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি নির্মিত ছিল কঙ্কাই নদীর উপনদী মাদিয়ার উপর। তার আগে, রবিবার বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলায় ১৬ মিটার দীর্ঘ একটি নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে পড়ে। শনিবার সিওয়ানের দারুন্ডা এলাকায় একটি সেতু ভেঙে পড়ে। খালের উপর নির্মিত সেতুটি দারুন্ডা এবং মহারাজগঞ্জ ব্লকের গ্রামগুলিকে যুক্ত করার জন্য তৈরি করা হচ্ছিল।
তার আগে, মঙ্গলবার আরারিয়া জেলার সিক্তিতে প্রায় ১৮০ মিটার দীর্ঘ একটি নবনির্মিত সেতু ভেঙে পড়ে। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি সেতুটির কাজ সবেমাত্র শেষ হয়েছে। শীঘ্রই উদ্বোধন করার কথা ছিল।
মার্চের শুরুতে, সুপলে একটি নির্মাণাধীন সেতুর তিনটি স্ল্যাব ধসে এক শ্রমিকের মৃত্যু এবং আটজন শ্রমিক আহত হয়েছিলেন। গত বছরের জুনে গঙ্গা নদীর উপর আগুয়ানি-সুলতানগঞ্জ সেতুর তিনটি স্তম্ভ ধসে পড়ার পরে সেটি জলে তলিয়ে যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন