যোগী রাজ্যে সরকারী পরীক্ষার 'প্রশ্নপত্র ফাঁস' নিয়ে শুধু বিরোধীরা নন, সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী (Barun Gandhi)। ঘটনার সমালোচনা করে টুইটারে তিনি লিখেছেন - উত্তরপ্রদেশে 'সংগঠিত শিক্ষা মাফিয়া' মাথাচাড়া দিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের রাজস্ব বিভাগে 'লেখপাল' (Lekhpals) নিয়োগ পরীক্ষার সময় একটি চক্র কাজ করেছে। পরীক্ষার্থীদের ব্লুটুথ ডিভাইসের মাধ্যমে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ, রবিবার বিভিন্ন জেলা থেকে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
রবিবার, উত্তরপ্রদেশের ১২টি জেলায় প্রায় ৫০০ কেন্দ্রে 'লেখপাল' পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর তাতেই 'প্রশ্নপত্র ফাঁস'-এর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সকালে এক টুইট বার্তায় বরুণ গান্ধী লেখেন, 'ইউপি পুলিশ (UP Police), ইউপি পিসিএল (UPPCL), ইউপি এসএসসি (UPSSC), টিউবওয়েল অপারেটর, পিইটি (PET), ইউপি টেট (UPTET), বিএড (B.Ed), নিট (NEET) পরীক্ষায় পেপার ফাঁসের পর, 'লেখপাল' পরীক্ষায়ও প্রতারণা মাফিয়াদের আধিপত্য ছিল। কতদিন এভাবে তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলবে এই সংগঠিত শিক্ষা মাফিয়ারা ? এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।'
উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট (Pilibhit) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বরুণ গান্ধী। গত বছরেও সরকারী নীতি, বিশেষত যুব সম্প্রদায়ের সমস্যা ও চাকরীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার দাবিতে একাধিক টুইট করেছিলেন তিনি।
তবে, তার সর্বশেষ টুইটে বরুণ গান্ধী প্রয়াগরাজ পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি ভাইরাল ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলেছে পরীক্ষার্থীরা। ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
রবিবার সন্ধ্যায় টুইটারে একই ভিডিও শেয়ার করেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান এবং উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। টুইটারে অখিলেশ যাদব লিখেছেন, ' আজ লেখপাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে, ছাত্রদের অভিযোগ সত্য। তাদের অভিযোগ, এটি বিজেপি সরকারের একটি চক্রান্ত, যাতে করে কোনও নিয়োগ পরীক্ষা শেষ না হয় এবং কেউ চাকরি না পায়৷ বিজেপি বেতন ও পেনশনের বিরুদ্ধে।'
২০২১ সালের নভেম্বরে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের জেরে উত্তর প্রদেশে বাতিল হয়েছিল শিক্ষক নিয়োগের প্রবেশিকা পরীক্ষা। উত্তরপ্রদেশ টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট (UPTET) হল, রাজ্যের সরকার পোষিত প্রাথমিক ও উচ্চ-প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার জগতে প্রবেশিকা পরীক্ষা। এই পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল যোগী রাজ্যের কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু, তা বাতিল হয়ে যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন