যারা দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অসম্মান করছে সেইসব ব্রিটিশদের দালাল থেকে সাবধান থাকুন। মঙ্গলবার ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে এক অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।
এদিনের অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতা বলেন, “আমরাই যারা কর্ণাটকের সাঙ্গোল্লি রায়না থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামীকে ব্রিটিশদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম, এমনকি এখনও এখানে ব্রিটিশদের দালালরা আছে। যারা আমাদের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করছে।”
এদিন তিনি ক্রান্তিবীর সাঙ্গোল্লি রায়ান্না ফাউন্ডেশন এবং ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর কর্পোরেশন দ্বারা যৌথভাবে আয়োজিত ক্রান্তিবীর সাঙ্গোল্লি রায়ান্নার ২২৬ তম জন্মবার্ষিকীতে বক্তৃতা করেন এবং রায়ান্নার মূর্তিতে মালা অর্পণ করেন।
সিদ্দারামাইয়া বলেন, “১৫ আগস্ট দেশের স্বাধীনতা দিবস। এদিনই শহীদ সাঙ্গোল্লি রায়ান্নারও জন্মদিন। মুক্তিযোদ্ধা সাঙ্গোল্লি রায়ান্নারও এই আকাঙ্খাই ছিল। ১৫ আগস্ট রায়ান্নার জন্মদিন, আর ২৬ জানুয়ারী ব্রিটিশরা রায়ন্নাকে ফাঁসি দিয়েছিল। এই দুটি দিনই দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ দিন।”
তিনি বলেন, সব মানুষ সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পেলেই শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি রায়ান্নার নামে সৈনিক স্কুলের উন্নয়নের জন্য এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর প্রথম মেয়াদে রায়ান্নাকে ফাঁসি দেওয়া নন্দাগড়ের উন্নয়নের জন্য ২৮০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। খুব শীঘ্রই তিনি নিজেই সৈনিক স্কুলের উদ্বোধন করবেন বলেও জানান।
তিনি বলেন, “গেরিলা যোদ্ধা সাঙ্গোলি রায়ান্নার ইচ্ছা ছিল এক গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার অর্থ আমাদের সংবিধান রক্ষা করা। আমাদের এরকম কোনও অশুভ শক্তিকে বাড়তে দেওয়া উচিত নয়, যারা আমাদের সংবিধান পরিবর্তন করবে।"
এই অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার, নিদুমামাদি মঠের বীরভদ্র চন্নামল্লা মহা স্বামীজি, বিধান পরিষদের সদস্য নাগরাজ যাদব, মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা গোবিন্দরাজ, প্রাক্তন মন্ত্রী এইচ এম রেভান্না, প্রাক্তন মেয়র রামচন্দ্রপ্পা এবং আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন