অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে (তাওয়াং-এ) ভারত-চীন সেনা সংঘর্ষ নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবি তুলেছে কংগ্রেস (Congress)। এ ব্যাপারে সংসদের উভয় কক্ষেই নোটিশও দেওয়া হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। সূত্রের খবর, আজ সংসদে এ নিয়ে বিবৃতি দিতে পারেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)।
নোটিশে অরুণাচল সীমান্তে ভারত-চীন সংঘর্ষকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করে লোকসভার সাংসদ মনীশ তেওয়ারি বলেছেন, 'অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে চীনা আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই৷ যেটি তাওয়াং পূর্বাঞ্চলের ইয়াংজি নামক একটি পয়েন্টের কাছে LAC বরাবর ঘটেছে।'
দেশের নিরাপত্তা নিয়ে মোদী সরকার রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। একইসঙ্গে, জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে সবাই কেন্দ্রের সঙ্গে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেছেন, মোদী সরকারের উচিত চীনের সঙ্গে সীমান্তে ২০২০-র এপ্রিলের পর থেকে যা যা হয়েছে, সেব্যাপারে সঠিক অবস্থান জানানো।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও। টুইটারে তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী যদি তাঁর ভাবমূর্তি রক্ষা না করে গালোয়ান সংঘর্ষের পরে চীনের বিরুদ্ধে কাজ করতেন, তাহলে চীন ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের সাহস দেখাত না।
সূত্রের খবর, অরুণাচলে চীন-ভারত সেনা সংঘর্ষ নিয়ে শীর্ষ সেনা কর্তাদের বৈঠকে ডেকেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার এবং এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী।
সোমবার, সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ৯ ডিসেম্বর, ভারতীয় ও চীনা সেনারা তাওয়াং সেক্টরে অরুণাচল প্রদেশ সীমান্ত বরাবর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের সেনারা আহত হয়েছেন। শুক্রবারের এই সংঘর্ষের পর অন্তত ছয়জন আহত ভারতীয় সেনাকে চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর তরফে এই বিবৃতি সামনে আসার পরেই দেশের নিরাপত্তা এবং চীনা আগ্রাসন নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
আগে থেকেই বিরোধীরা অভিযোগ করে আসছে যে, সীমান্তে ভারতের ভূখণ্ড বহুদিন হল দখল করে রেখেছে চীন। সংসদ শুরুর আগেই সর্বদলীয় বৈঠকে চীন নিয়ে আলোচনা দাবি করেছে বিরোধীরা। তবে, অরুণাচল সীমান্তে নতুন করে সেনা সংঘর্ষের ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে মোদী সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন