২০১৩ সালে, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (Global Hunger Index) ভারতের স্থান ছিল ৬৩। আর, ২০২২ সালে তা নেমে এসেছে ১০৭ নম্বরে। আফগানিস্তান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ পেছনে চলে এসেছে ভারত। আর, গত আট বছরে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের এই লাগাতার পতন নিয়ে মোদী সরকারকে বিঁধেছেন সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
শনিবার, টুইটারে ইয়েচুরি জানান, 'বিপজ্জনক, ২০১৪ সাল থেকে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের অবস্থান খারাপের দিকে। ন্যূনতম বাফার + 🔺মূল্যের চেয়ে কম খাদ্য মজুদ রয়েছে। গত সাড়ে আট বছরে ভারতের এই অন্ধকার যুগের জন্য সরকারকে দায় নিতে হবে।...'
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের স্থান ছিল ১০১। ২০২০ সালে ছিল ৯৪। অর্থাৎ, মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারত ১৩ ধাপ নেমে এসেছে।
২০২২ সালের সূচকে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ৯৯ নম্বরে, শ্রীলঙ্কা ৬৪ নম্বর স্থানে, বাংলাদেশ ৮৪ নম্বরে, নেপাল ৮১ এবং মায়ানমার ৭১ নম্বর স্থানে রয়েছে।
যৌথভাবে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে আইরিশ সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড (Concern Worldwide) এবং জার্মান সংস্থা ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফ (Welthungerhilfe)। তাঁরা এই ক্ষুধা সূচককে ‘গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছে।
মূলত, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের স্কোর চারটি সূচকে গণনা করা হয় - অপুষ্টি, চাইল্ড ওয়াস্টিং (পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতার জন্য কম ওজন), চাইল্ড স্টান্টিং (পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের বয়সের অনুপাতে কম উচ্চতা) এবং শিশু মৃত্যু (পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর হার)।
এর আগে, গত বছর বিশ্ব ক্ষুধা সূচকের রিপোর্টকে প্রত্যাখ্যান করেছিল মোদী সরকার। কেন্দ্র দাবি করেছিল- এই রিপোর্ট 'গুরুতর পদ্ধতিগত ত্রুটিযুক্ত'।
বিবৃতিতে মোদী সরকার জানিয়েছিল, 'এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে গ্লোবাল হাঙ্গার রিপোর্ট ২০২১ অপুষ্টিজনিত জনসংখ্যার অনুপাতে FAO-এর অনুমানের ভিত্তিতে ভারতের স্থান নীচের দিকে নামিয়েছে। যা বাস্তব বর্জিত ও তথ্যবিহীন এবং গুরুতর পদ্ধতিগত সমস্যায় যুক্ত। কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফের প্রকাশনা সংস্থা গ্লোবাল হাঙ্গার রিপোর্ট প্রকাশের আগে যথাযথ কাজ করেনি।
সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল -https://youtube.com/c/PeoplesReporterBengali
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন