বুধবার লোকসভায় ৪৫৪ ভোটে পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Women’s reservation Bill)। এই বিল পাশের ফলে লোকসভা ও বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করা হবে। যদিও ২০২৯ সালের আগে তা চালু হবে না।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে ভারতে সংসদের নিম্নকক্ষে মহিলা সদস্য রয়েছেন মাত্র ১৫ শতাংশ। সেই হিসেবে বিশ্বের ১৮৫টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৪১ নম্বরে। এই সংখ্যাটা বিশ্বব্যাপী সংসদ ভবনের নিম্নকক্ষে গড় মহিলা সদস্যের সংখ্যার থেকে অনেকটাই কম। এমনকি ভারতের পড়শি দেশ, যেমন পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপালের থেকেও কম।
আন্তঃসংসদীয় ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের বিশ্বব্যাপী সংগঠনের মতে এই মুহূর্তে ভারতের সংসদ ভবনের নিম্নকক্ষে মহিলাদের উপস্থিতি মাত্র ১৫ শতাংশ। অন্যদিকে, বিশ্বের সমস্ত সংসদ ভবনে মহিলা সদস্যদের গড় ২৬ শতাংশ। এমনকি, ভারতের পড়শি রাজ্য পাকিস্তানের সংসদেও মহিলাদের উপস্থিতি ভারতের থেকে বেশি। ১৯৫৬ সাল থেকেই মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ নিয়ে পাকিস্তান একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০০২ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মহিলাদের জন্য ১৭ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করা হয়।
বাংলাদেশ ও নেপালের মতো দেশের জাতীয় আইন পরিষদে মহিলাদের উপস্থিতি ভারতের থেকে বেশি। বাংলাদেশের এককক্ষ বিশিষ্ট ‘জাতীয় সংসদ’-এর ৩৫০ আসনের মধ্যে মহিলাদের জন্য ৫০টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সংসদে মহিলাদের উপস্থিতি ২১ শতাংশ। অন্যদিকে, নেপালের সংসদের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ’-এ মহিলাদের উপস্থিতি ৩৩.০৯ শতাংশ, যা ভারতের পাশাপাশি অনেক দেশের থেকেই অনেক বেশি। ২০০৭ সালে নেপাল সংসদের নিম্নকক্ষে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষিত করা হয়।
তথ্য বলছে, আমেরিকা ও ব্রিটিশ সংসদের নিম্নকক্ষে মহিলাদের উপস্থিতি যথাক্রমে ২৯ ও ৩৫ শতাংশ। সংসদ ভবনে মহিলা ও পুরুষের সমান (৫০ শতাংশ) প্রতিনিধিত্ব রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। তবে সংসদ ভবনের নিম্নকক্ষে মহিলাদের সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি রয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ রাওয়ান্ডায়। সে দেশের আইন পরিষদে ৬১ শতাংশ মহিলা প্রতিনিধি রয়েছে। তবে আইন পরিষদে মহিলাদের উপস্থিতির নিরিখে ভারতের (১৫ শতাংশ) থেকেও পিছিয়ে রয়েছে পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কা (৫ শতাংশ), রয়েছে কাতার (৪ শতাংশ), কুয়েত (৩ শতাংশ), ওমান (২ শতাংশ)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন