চলতি আর্থিক বছরে 'দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি'র দেশের তকমা হারাতে পারে ভারত। শুক্রবার, এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান দপ্তর (NSO)।
১ ফেব্রুয়ারি, সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তার, আগে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতেও কমেছে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উৎপাদন ব্যবস্থা। এতে ধাক্কা খেয়েছে ভারতের অর্থ ব্যবস্থাও।
এক পূর্বাভাষে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান দফতর জানিয়েছে, ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭%। যেখানে, ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার রয়েছে ৮.৭%। আর, NSO-র পূর্বাভাষ যদি বাস্তবে মেলে, তাহলে সৌদি আরবের কাছে দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতি হওয়ার তকমা হারাতে পারে ভারত। কারণ পশ্চিম এশিয়ার ওই দেশটির জিডিপি ৭.৬% হারে বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাষ দিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহল।
দেশজুড়ে বেকারত্ব বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জেরে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ঝুঁকির মুখে পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। বিশেষজ্ঞ মহলের অভিমত, একদিকে যখন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে, সেসময় মানুষের হাতে কাজ নেই, বাড়তি খরচ করার মতো টাকাও নেই। ফলে, কেনাকাটাও কমেছে, কমেছে পণ্যের চাহিদাও। আবার, চাহিদা কমায় সংস্থাগুলিও নিয়োগ বাড়াতে পারছে না।
তাই, কেন্দ্রের বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রীর কাছে আয়কর কমানোর আর্জি জানিয়েছে বিভিন্ন বণিকমহল। তাদের যুক্তি- কর না কমলে মানুষের হাতে খরচ করার বাড়তি টাকা থাকবে না। ফলে বাড়বে না চাহিদা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন