২০১৬ সালে আন্দামানে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ মেলেনি সেই সময়। সাড়ে সাত বছর পর অবশেষে হদিশ মিলল সেই বিমানটির। বঙ্গোপসাগরের ৩.৪ কিলোমিটার গভীর থেকে বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মিলেছে। জানা গেছে, এক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেই খোঁজ মিলেছে ওই বিমানে ধ্বংসাবশেষের। কি কারণে নিখোঁজ হয়েছিল ওই বিমানটি, তার নতুন করে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
২০১৬ সালের ২২ জুলাই চেন্নাই থেকে আন্দামানের পোর্টব্লেয়ার যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার AN-32 বিমানটি। ২৯ জন যাত্রী ছিল বিমানে। বিমানের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল K-2743। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই বিমানটি। এরপর চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। নামানো হয়েছিল ডুবুরিও। তাও খোঁজ মেলেনি ওই বিমানের।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক অধীনস্থ চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজির তরফে জানানো হয়েছে, স্বয়ংক্রিয় যান, অটোমেটিক আন্ডারওয়াটার ভেহিকল গত সপ্তাহে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য বঙ্গোপসাগরের জলে নামানো হয়। ছ’মাস আগে ওই যানটি নরওয়ে থেকে আনা হয়েছিল।
জানা গিয়েছে, স্বয়ংক্রিয় জলযানটিকে নামিয়ে সাগরের ৩,৪০০ মিটার গভীর এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। ব্যবহার করা হয় উচ্চ শক্তিসম্পন্ন ফোটোগ্রাফি প্রযুক্তিও, তাতেই সাগরের তলদেশে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
যদিও, ওই বিমান তল্লাশির উদ্দেশ্যে ওই জলযানটি ব্যবহার করা হয়নি বলেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রবিচন্দ্রণ। তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথমে অশোক চক্রের প্রতীকটি চোখে পড়ে। সকলে ভেবেছিলেন কোনও জাহাজের অংশ বোধহয়। আরও নিরীক্ষণ করার পর বাকি ধাতব অংশও চোখে পড়ে। পরে ভারতীয় নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনা ওই ধ্বংসাবশেষকে নিখোঁজ বিমানের অংশ বলে চিহ্নিত করে।
বিমানে উপস্থিত ওই ২৯ জনের বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তবে কি কারণে সেই সময় ওই বিমানটি নিখোঁজ হয়েছিল তার নতুন করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন