দেশে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে মূল্যবৃদ্ধির হার। মে মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৪.৩১ শতাংশ। জুন মাসে দেখা যাচ্ছে সেই হার বৃদ্ধি পেয়েছে হয়েছে ৪.৮১ শতাংশ। তবে সরকারের মতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
বুধবার ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস থেকে মুদ্রাস্ফীতির একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে চাল, ডাল সহ একাধিক দানাশস্যের দাম বৃদ্ধি। একইভাবে বেড়েছে সবজির দামও। মে মাসে যেখানে মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ২.৯৬ শতাংশ সেখানে জুন মাসে খাদ্যশস্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৪.৫ শতাংশ। শহরাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতির হার সব থেকে বেশি। প্রায় ৫ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.৭ শতাংশ।
সরকার মূল্যবৃদ্ধির কথা স্বীকার করলেও বিষয়টিতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের দাবি, মূল্যবৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। সাধারণ মানুষের চিন্তার কারণ নেই।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার গুরুত্ব না দিলেও মধ্যবিত্তের জন্য যথেষ্ট চিন্তার। তাঁদেরকে বাজারে গিয়ে ভাবতে হচ্ছে কোনটা কিনবেন আর কোনটা কিনবেন না। এমন অনেক সবজি রয়েছে কেজি প্রতি ১০০-১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ছে। ফলে এমনই অবস্থা যে ইচ্ছা থাকলেও কেনার উপায় নেই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন