৩০ সেপ্টেম্বর, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কর্ণাটক পৌঁছাবে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। তাঁকে স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে 'প্রতিযোগিতা'। কে এগিয়ে থাকবে, তা নিয়ে নেতাদের মধ্যে চলছে টানাপড়েন। ফলে, 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র আগে রাজ্য কংগ্রেসে দলীয় ঐক্য নিয়েই প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।
শনিবার, নির্দিষ্ট করে কারও নাম না করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার বলেন, ‘পার্টি সেই সকল নেতাদের ধর্তব্যের মধ্যে নেয় না, যারা বিয়ের অনুষ্ঠান এবং ফিতা কাটতে ব্যস্ত।’ তিনি জানান, ‘আমি সংখ্যা চাই। আমি নির্বাচনে জিততে চাই। নেতাদের বুথ স্তরে গিয়ে কাজ করতে হবে।’
সূত্রের খবর, কর্ণাটক কংগ্রেসের অন্দরে বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারের মধ্যে বিরোধ নতুন করে জেগে উঠেছে। গত ৩ আগস্ট, সিদ্দারামাইয়ার জন্মদিনে যে সকল কংগ্রেস নেতারা তাঁকে ঘিরে উৎসাহ দেখিয়েছে, এদিন তাঁদেরকেই খোঁচা দিয়েছেন শিবকুমার।
শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা আর ভি দেশপান্ডের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শিবকুমার। তিনি বলেন, ‘ভারত জোড়ো যাত্রার জন্য আমি তাঁকে ৫ হাজার দলীয় কর্মী পাঠাতে বলেছিলাম। কিন্তু, তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। নেতারা যদি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকার করেন, তবে কী হবে? কাউকে রেয়াত করা হবে না।’
তাঁর খোলাখুলি অভিযোগ, যে গতিতে কাজ করা দরকার, তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করার জন্য তিনি দলের নেতাদের কাছ থেকেই সমর্থন পাচ্ছেন না।
অন্যদিকে, প্রতিক্রিয়ায় দেশপান্ডে বলেন, ‘তারও খুব গতি আছে’।
জানা যাচ্ছে, 'ভারত জোড়ো যাত্রা'য় প্রতিদিন ২০ হাজার লোককে একত্রিত করার পরিকল্পনা করছে কর্ণাটক কংগ্রেস।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন