ডিএমকে সাংসদ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বুধবার রাজ্যসভায় বলেন যে, সরকার সমস্ত নাগরিকের জন্য, কিছু বিলিয়নিয়ারের জন্য নয়। তাঁর দাবি কেন্দ্রীয় বাজেট বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। তিনি আরও বলেন, কোনো আইন ছাড়াই ক্রিপ্টোকারেন্সির ওপর ৩০ শতাংশ কর আরোপ করার কথা কখনও কোথাও শোনা যায়নি। “কর দিলেই কি একটা অবৈধ কার্যকলাপ বৈধ হয়ে যায়?” তিনি প্রশ্ন করেন।
তাঁর দাবি, সরকারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো করার সুযোগ ছিল। কিন্তু বাজেট পেশ করতে গিয়ে সরকার সেই সুযোগ হাতছাড়া করেছে। ট্যাক্স কম্পোজিশনের কথা উল্লেখ করে আবদুল্লাহ বলেন, “একটি মেয়ের কাছে হীরে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নাকি স্যানিটারি ন্যাপকিন?” মেয়েদের প্রয়োজনীয় জিনিসের উপর ১২ শতাংশ ট্যাক্স আরোপের তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি।
বাজেটে বেকারত্ব এবং কৃষি সঙ্কটের উপর নজর দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তাঁর। তিনি অক্সফাম রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন যে, ভারতীয় বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ১০২ থেকে ১৪২-এ হয়েছে। দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি তিনি কর্পোরেট ট্যাক্স বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। তিনি সবশেষে বলেন – “ইতিহাস আপনাদের বিচার করবে।”
দক্ষিণের আর একটি রাজ্য (তেলেঙ্গানার) সাংসদ (টিআরএস) কে.আর. সুরেশ রেড্ডি বলেন যে, অর্থমন্ত্রীর ৯০ মিনিটের ভাষণ ৯০ কোটি ভারতীয়কে বাজেট থেকে বাদ দিয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশকে দ্বিখণ্ডিত করার বিষয়ে মঙ্গলবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেছিলেন, “প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন না, বিলটি এই হাউস দ্বারা পাশ হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন - বাজেট বক্তৃতায় কৃষিতে বেসরকারী সংস্থার কথা বলা হয়েছে, এটি পিছনের দরজা দিয়ে তিনটি কৃষি আইন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন