মণিপুরে দুই মহিলাকে গণধর্ষণ ও নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানোর ঘটনায় মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে বাদল অধিবেশন শুরুর আগে সাংবাদিকদের সামনে বলেন, 'মণিপুরের এই ঘটনা সভ্য সমাজের জন্য লজ্জাজনক'। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তন্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
বৃহস্পতিবার থেকে সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "মণিপুরের যে ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে যে কোনও সভ্য সমাজের কাছে তা লজ্জাজনক। গোটা দেশের সম্মানহানি হয়েছে। ১৪০ কোটি মানুষের মাথা হেঁট হয়ে গেছে। আমি সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো নিজের নিজের রাজ্যে আইন আরও মজবুত করুন। বিশেষ করে আমাদের মা, বোনেদের সম্মান রক্ষার জন্য কঠিন থেকে কঠিনতম পদক্ষেপ গ্রহণ করুক"।
তিনি আরও বলেন, 'ঘটনাটি রাজস্থান হোক, ছত্তিশগড় হোক, মণিপুরই হোক বা অন্য যে কোনো রাজ্যেই এই ধরণের ঘটনা ঘটুক, সকলের উচিত রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে ব্যবস্থা নেওয়ার। আমি দেশবাসীকে আশ্বাস দিচ্ছি কোনো অপরাধীকে ছাড়া হবে না। সর্বশক্তি দিয়ে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। এই ঘটনার কোনও ক্ষমা নেই'।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে দুই মহিলাকে নগ্ন করে জোর করে রাস্তায় হাঁটানো হচ্ছে। অভিযোগ, ওই দুই মহিলাকে প্রথমে গণধর্ষণ করা হয়। তারপর একদল পুরুষ তাঁদের নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরায়। ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটি মে মাসের ঘটনা। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। একজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।
মণিপুরের ঘটনায় বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমরা কোনোদিন ভাবিনি 'নিউ ইন্ডিয়ায়' মহিলাদের সাথে এমন অমানবিক ঘটনা ঘটবে।
মণিপুরের ঘটনায় সরকারকে তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, মণিপুরের ঘটনা সহ্যের বাইরে। সরকার যদি তদন্ত না করে আমরা তাহলে স্বতপ্রণোদিত ভাবে মামলা করবো। মামলার শুনানি হতে পারে আগামীকাল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন