কুতুব মিনার পুজো করার জায়গা নয়। দিল্লির এক আদালতে সাফ জানালো আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই। কুতুব মিনার একটি প্রাচীন স্মৃতিসৌধ। এটি দীর্ঘকাল ধরে সংরক্ষন করে আসছে এএসআই। আইন অনুযায়ী যে সময় থেকে সংরক্ষন করছে সেই সময় কুতুব মিনার যেমন ছিল তেমনি রাখতে হবে। আদালতে হলফনামায় এমনটাই জানিয়েছে এএসআই কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার সূত্রপাত মূলত এক এএসআই কর্তার বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। এএসআইয়ের প্রাক্তন এক কর্তা দাবি করেন, কুতুব মিনার তৈরি করেছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য। সূর্যের গতিপথ পর্যবেক্ষন করার জন্য এই মিনার গড়ে তোলা হয়। এরপরই বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি কুতুব মিনারকে মন্দিরে পরিণত করার দাবি জানায়। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য আদালত এএসআইকে নির্দেশ দেয়। মঙ্গলবার আদালতে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে হলফ নামা পেশ করে বলা হয় কুতুব মিনার পুজো করার জায়গা নয়। মিনারের গঠন এখন বদল করা কোনো ভাবে সম্ভব নয়।
সূত্রের খবর, মন্দিরের অস্তিত্ব জানার জন্য কুতুব মিনারের দক্ষিণ দিকের মসজিদ থেকে ১৫ মিটার দূরত্বে খননকার্য শুরু করে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে পেশ করতে পারে এএসআই। বলে রাখা ভালো, এখনও পর্যন্ত কুতুব মিনারে হিন্দু মন্দির ও তাদের দেব-দেবী কেন্দ্রিক যেসব নিদর্শন আছে সেগুলি অস্বীকার করেনি এএসআই। তারা আরও জানায়, যেহেতু সেগুলি ঐ সৌধের অংশ তাই তা সংরক্ষিত থাকবে।
প্রসঙ্গত, এই বিতর্কে বিশ্বহিন্দু পরিষদও রয়েছে। তারা দাবি করে, কুতুব মিনার লাগোয়া যে কটি মন্দির আছে তা পুনরায় নির্মাণ করতে হবে। তবে সেই আর্জি খারিজ করে দেয় দিল্লীর আদালত। অন্য একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের তরফ থেকে বলা হয় কুতুব মিনারটি অতীতে ভগবান বিষ্ণুর মন্দির ছিল। তাই ঐ মিনারের নাম বদলে যেন ‘বিষ্ণু স্তম্ভ’ রাখা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন