তিন কৃষি আইন বাতিল না করলে সরকার টিকিয়ে রাখা মুশকিল হবে। বুধবার হরিয়ানার জিন্দ জেলার কান্ডেলা গ্রামে এক মহাপঞ্চায়েতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা জানিয়েছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। তিনি আরও বলেন – রাজা যখন ভয় পায় তখন তাঁর দুর্গকে সুরক্ষিত করে। এদিন রাকেশ টিকায়েত-এর সভা চলাকালীন মঞ্চ ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় কিছুক্ষণের জন্য সভার কাজ ব্যাহত হলেও পরে ফের তা শুরু হয়।
এদিন সভায় রাকেশ টিকায়েত বলেন – আমরা এতদিন বিল বাপসি-র কথা বলে এসেছে। সরকার সেই কথায় গুরুত্ব দেয়নি। কিছু এবার যদি যুবক যুবতীরা সরকারকে গদি বাপসি-র কথা বলে তাহলে কী হবে?
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর প্যারেডের সময় লালকেল্লায় হাঙ্গামার ঘটনা এবং তারপর দিল্লি সীমান্ত অঞ্চলে প্রশাসনের তরফে আন্দোলন তুলে দেবার চেষ্টাকে ঘিরে জল ঘোলা হয়। যার জেরে রাকেশ টিকায়েত এক আবেগঘন বক্তৃতায় সমস্ত কৃষককে আন্দোলনে যোগ দেবার আহ্বান জানান। এরপরেই উত্তরপ্রদেশের একাধিক জায়গায় কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রতিটি মহাপঞ্চায়েতেই মানুষের ঢল কৃষক আন্দোলনে নতুন অক্সিজেন যোগাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
জাঠ অধ্যুষিত হরিয়ানায় রাকেশ টিকায়েত-এর ডাকে অনুষ্ঠিত মহাপঞ্চায়েত রাজ্যে রাজনৈতিক সমীকরণও বদলে দিতে পারে বলে কোনো কোনো মহল মনে করছেন। কারণ এই জেলাতেই বিজেপি সহযোগী জেজেপি-র তিন বিধায়ক আছে এবং যার মধ্যে আছেন স্বয়ং দলনেতা ও রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালা। এইক্ষেত্রে এখনও বিজেপি সরকারের সঙ্গে থাকলে আগামী দিনে নির্বাচনে জেজেপির ফল ভালো না হবার আশঙ্কা করছেন জেজেপি নেতৃত্ব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন