বদলাপুর কাণ্ডে প্রশাসনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করল বোম্বে হাইকোর্ট। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডের মৃত্যু হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। ঘটনাটিকে কেবল এনকাউন্টার বলে চালিয়ে দেওয়া যায় না বলেই পর্যবেক্ষণ আদালতের।
বুধবার বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রেবতী মোহিতে ডেরে এবং বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চৌহানের ডিভিশন বেঞ্চ 'এনকাউন্টার' নিয়ে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশকে। আদালত প্রশ্ন করে, একজন অভিযুক্ত কীভাবে পুলিশের কাছ থেকে পিস্তল ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হল? এতজন পুলিশ কর্মীর থেকে সে এতই শক্তিশালী! একজন সাধারণ মানুষ বন্দুকের স্লাইডার টেনে গুলি চালিয়ে দিল। আর তাতে জখম হয়েছেন একজন পুলিশ কর্মীই! এটা কীভাবে সম্ভব?
আদালত আরও প্রশ্ন করে, কেন ওই অভিযুক্তকে নিরস্ত্র করতে হাঁটুর নীচে গুলি করা হল না? হতকড়া পরে থাকা অবস্থায় পুলিশের উপর গুলি চালাচ্ছে অভিযুক্ত, এটা কি আদৌ বিশ্বাস করা যায়?
পাল্টা রাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। সেই সময় হাঁটুর নীচে গুলি করার কথা মাথায় আসেনি পুলিশের। আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট স্কুলের শৌচালয়ে দুই খুদে পড়ুয়ার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। অভিযুক্ত স্কুলেরই ২৩ বছরের সাফাইকর্মী। অভিযোগ পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি সোমবার অন্য একটি মামলার তদন্তের জন্য ওই অভিযুক্তকে গাড়িতে করে পুণে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মুম্রা বাইপাসের কাছে পুলিশের গাড়ি পৌঁছতেই অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডে হঠাৎ পুলিশের রিভলভার কেড়ে নিয়ে গুলি চালানো শুরু করে। আত্মরক্ষার জন্য এক পুলিশ আধিকারিক পাল্টা গুলি চালান। সেই গুলিতেই জখম হয় ওই অভিযুক্ত। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন