প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘চোখের মণি’ - জম্মু-কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্স (J&KPC)-র সভাপতি সাজ্জাদ লোন। মাত্র ৬ জন বিধায়ক নিয়ে উপত্যকার মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন এই সাজ্জাদ। সম্প্রতি, সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যার (The Wire)-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এমনই মন্তব্য করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।
২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (PDP)-র সঙ্গে জোট ভেঙে সরকার ছাড়ে বিজেপি। এ সময়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাশনাল কনফারেন্স (NC) এবং কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানায় মেহবুবা মুফতি।
পিডিপি প্রধান দাবি করেন, ‘তিন দলের ৫৬ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে চিঠি রাজভবনে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অদ্ভুতভাবে ফ্যাক্স রিসিভ করা হচ্ছে না। ফোনে রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে, পাওয়া যাচ্ছে না।’
আর এই সময়, বিজেপি (BJP)-র সমর্থন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা চালান পিপলস কনফারেন্সের সভাপতি সাজ্জাদ লোন। মাত্র ৬ জন দলীয় বিধায়ক নিয়ে সরকার গঠনের আর্জি জানান তিনি। সম্প্রতি এই দাবি করেন জম্মু-কাশ্মীরের তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক।
সাক্ষাৎকারে সত্যপাল মালিক বলেন, ‘আমি তাঁকে (সাজ্জাদ) জিজ্ঞেস করলাম কে আপনাকে সমর্থন করছে। তিনি বলেন, আমার ৬ জন বিধায়ক আছে, কিন্তু আপনি যদি আমাকে শপথ নেওয়ার সুযোগ দেন, তাহলে আমি এক সপ্তাহের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করব।’
এদিকে, টুইটারে এক প্রতিক্রিয়ায় সাজ্জাদ বলেন, ‘যখনই আমি লন্ডনে থাকি বা লন্ডনে যাই সেসময় এক ব্যক্তি মৌখিক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। এই ব্যক্তি চেয়ারে বসে খুনিদের গ্রেপ্তার এবং ৩৭০ ধারা বাতিলের জন্য দাবি না করে এখন ধর্মপ্রচারক হতে চাইছেন।’
মূলত, সাজ্জাদ লোনকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘চোখের মণি’ বলায় নাম না নিয়ে সত্যপাল মালিককে নিশানা করে পিপলস কনফারেন্স। তবে, জানা যাচ্ছে ২০১৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির সাথে জোট বেঁধেছিলেন সাজ্জাদ লোন। এমনকি, মোদীকে তাঁর বড় ভাই বলেও অভিহিত করেছিলেন তিনি। পরে, সেই মোহ কাটিয়ে বিজেপির সঙ্গ ছাড়েন সাজ্জাদ লোন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন