ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বে থাকা সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চকে স্বাগত জানালেন জেলবন্দী সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানের স্ত্রী। বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ যতক্ষণ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে তাঁদের পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ করছে ততক্ষণ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে রাষ্ট্রদ্রোহ বিষয়ক ক্ষেত্রে কোনো এফআইআর দায়ের না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
কেরালার মালাপ্পুরমের নিবাসী সিদ্দিকি কাপ্পানের স্ত্রী রাইহানাথ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "আমি রায় শুনে অত্যন্ত খুশি এবং আমি এই নির্দেশের জন্য প্রধান বিচারপতি রামানাকে অভিনন্দন জানাই। যদিও কাপ্পান কোনও অন্যায় করেননি, তবুও তিনি উত্তরপ্রদেশের একটি কারাগারে রয়েছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে এখনও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে মামলা রয়েছে।" ... আমরা চাই আদালতগুলিও এই ধরণের ঘটনা খতিয়ে দেখুক এবং যথাযথ আদেশ দিক।"
৭ অক্টোবর, ২০২০-তে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, কাপ্পানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ (রাষ্ট্রদ্রোহ), ১৫৩এ (শত্রুতা প্রচার) এবং ২৯৫এ (ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষমূলক কাজ যা ধর্মীয় অনুভূতি ক্ষুব্ধ করার উদ্দেশ্যে) এর অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের বিভিন্ন ধারাতেও তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
দিল্লি-ভিত্তিক সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পান, এক দলিত মেয়েকে নৃশংস গণধর্ষণ ও হত্যার খবর সংগ্রহ করতে উত্তরপ্রদেশের হাথরস যাবার পথে ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর অন্য তিনজনের সাথে গ্রেপ্তার হন। কাপ্পান এবং অন্যদের ঘটনাস্থলে যাবার পথে হাথরস টোল প্লাজায় গাড়ি থামিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ আটক করে।
তাঁদের বিরুদ্ধে 'সঙ্কট ছড়ানোর' পরিকল্পনা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং কঠোর বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (UAPA) এবং অন্যান্য শাস্তিমূলক বিধানের অধীনে মামলা করা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবি, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (পিএফআই) সঙ্গে কাপ্পানের সম্পর্ক রয়েছে।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন