আদানি কাণ্ডের তদন্তে এবার সুপ্রিম কোর্টের কাছে জেপিসি (Joint parliamentary committee) গঠনের আবেদন জানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই দাবি করেছেন।
এক্স মাধ্যমে জয়রাম রমেশ লেখেন, আজ সকালে একটি সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় যে, সুইস পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস সুইজারল্যান্ডের মানি লন্ডারিং রিপোর্টিং অফিস (MROS)-র তদন্তের পরে, আদানির আস্থাভাজন চ্যাং চুং-লিং-র ৫টি অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে। যার মূল্য ৩১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ২,৫০০ কোটি টাকারও বেশি। এই দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে।
তিনি আরও লেখেন, টাকা বাজেয়াপ্ত করার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানো হলেও তা ৯ আগস্ট সুইস যুক্তরাষ্ট্রীয় ক্রিমিনাল আদালত খারিজ করে দেয়। আদালত জানিয়ে দেয় বাজেয়াপ্ত করা টাকা অনুমান করা হচ্ছে অবৈধ কাজের সাথেই যুক্ত।
জয়রাম রমেশ এও লেখেন, সুইস আদালত জানিয়েছে চ্যাং এবং তাঁর সহযোগীরা বাজারে কারচুপির সাথে জড়িত। বহু বছর ধরে এই একই অভিযোগ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উঠছে। সুইসস তদন্তকারী আধিকারিকরা জানান এই অ্যাকাউন্টগুলি ক্রেডিট জালিয়াতি, আর্থিক দুর্নীতির সাথে যুক্ত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ২৪ জানুয়ারি আমেরিকার শেয়ার গবেষণা ও শর্ট সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ অভিযোগ করেছিল, আদানি কোম্পানি গোষ্ঠী স্টক ম্যানিপুলেশন বা ‘জালিয়াতি’ করে কোম্পানির শেয়ার দর বাড়িয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের অন্তর্বর্তী রিপোর্টে জানায়, আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে স্টক ম্যানিপুলেশন, কর ফাঁকি ও বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে, তার কোনও প্রমাণ নেই। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের তদন্ত পরিচালনার জন্য কোনও এসআইটি (SIT) বা বিশেষজ্ঞদের দল গঠন করা হবেনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন