অবৈধ খনি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি পেলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তাঁর বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্ট এই রায় বাতিল করেছে।
অবৈধ খনি মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত চেয়ে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। হাইকোর্ট তদন্তের অনুমতি দিয়েছিল। হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চার প্রধান সোরেন।
প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি রবীন্দ্র ভট্ট এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই মামলার রায় ঘোষণার সময় জানায়, "আমরা আবেদনকারীকে দুটি আবেদনের অনুমতি দিয়েছিলাম। চলতি বছরের ৩ জুন ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ বাতিল করেছি আমরা। কারণ এই জনস্বার্থ মামলাগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।"
শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে হেমন্ত সোরেন লেখেন, "সত্যমেব জয়তে।" অর্থাৎ সত্যের জয় সবসময়।
হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ খনি চালানোর অভিযোগ আনে বিরোধী বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের কাছে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তোলে বিজেপি। নির্বাচন কমিশন সোরেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যপাল রমেশ বাইসকে সুপারিশ করেছে বলে জানা গেছে। যদিও রাজ্যপাল এখনও এই নির্দেশ দেননি। এর ওপর সুপ্রিম কোর্টও তদন্তের নির্দেশ বাতিল করায় বিপাকে বিজেপি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এই খনি মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেমন্ত সোরেনকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। সেই হাজিরা এড়িয়ে গিয়ে টুইটারে ইডির উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি লেখেন, "আমি যদি দোষী হই, তাহলে আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন? যদি পারেন, শুধু আসুন এবং আমাকে গ্রেপ্তার করুন।" একজন আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রীকে হয়রানির করার অভিযোগও তোলেন তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগী পঙ্কজ মিশ্র সহ আরও দু'জনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। গত জুলাই মাসে এই মামলার তদন্তে গোটা রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। সেই সময় মিশ্রের একাধিক ব্যাংক একাউন্ট থেকে মোট ১১.৮৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। এছাড়াও তাঁর বাড়ি থেকে আরও ৫.৩৪ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। মিশ্রের বাড়ি থেকে হেমন্ত সোরেনের একটি পাসবুক এবং সোরেনের স্বাক্ষর করা কয়েকটি চেক উদ্ধার করেছে ইডি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন