বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর থেকে কংগ্রেসে আস্থা নেই বলে বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী যে জোট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, তাদের অন্যতম দল তৃণমূল। কিন্তু সেখানে কংগ্রেসকে খুব বেশি মান্যতা দিতে রাজি নয় ঘাসফুল শিবির। বারবার তা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে তা উঠে এসেছে।
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেও তার বক্তব্যকে সমর্থন করে কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। শিবসেনা কংগ্রেসকে আগেই সমর্থন জানিয়েছে। এবার একই সুরে সুর মেলালেন প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা রাহুল গান্ধীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। ঝাড়খণ্ডে জোটসঙ্গী কংগ্রেসের ওপরেই ভরসা রেখেছে। উল্লেখ্য, কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গে জোট বেঁধে ঝাড়খণ্ডে সরকার চালাচ্ছেন হেমন্ত সোরেন।
বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমে জঙ্গলমহলের বেশ কয়েকটি আসনে ভোটে লড়ার কথা জানিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। পরে প্রকাশ্যে মমতাকে সমর্থন জানিয়ে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এদিকে হেমন্তের জোটসঙ্গী কংগ্রেস বামেদের সঙ্গী হয়েছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের উপরই আস্থা রাখলেন।
দেশে মোদি বিরোধিতার অন্যতম প্রধান মুখ মমতা, তা কংগ্রেস সহ অনেকেই স্বীকার করে নেবেন। কিন্তু কংগ্রেস জাতীয় দল। তৃণমূল আঞ্চলিক দল। তাই নিজেদের দাপট বিস্তার করতে ভিন রাজ্যে পা বাড়িয়েছে ঘাসফুল শিবির। তবে উত্তর-পূর্বের ছোট রাজ্যগুলিতে শাখা বিস্তার করে কংগ্রেসকে টেক্কা দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
সঙ্গী জোগাড়ে মমতা ছুটেছেন দিল্লি, মুম্বই। বৈঠক করেছেন শরদ পাওয়ার থেকে আদিত্য ঠাকরেদের সঙ্গে। তবে সেই বৈঠকে বিজেপি বিরোধিতার সুর মিললেও কংগ্রেসের পাশে থাকার বার্তা একপ্রকার স্পষ্ট। শিবসেনা মুখপত্র সামনাতে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেসের বিকল্প নেই।
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল সরকার চালাচ্ছি। আমরা ২০১৯ সালের লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে লড়েছি। ২০২৪ সালেও সেই সমীকরণ বজায় থাকবে বলে মনে করছি আমরা।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন