ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-আরজেডি-কংগ্রেস জোট সরকারই থাকছে। আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন। ৮১ বিধানসভা আসন বিশিষ্ট ঝাড়খণ্ডে চম্পাইকে সমর্থন জানিয়েছেন ৪৭ জন বিধায়ক। জয়ের জন্য চম্পাইয়ের প্রয়োজন ছিল ৪১ টি ভোট। ফলে সহজেই জয় পেয়েছেন প্রবীণ জেএমএম নেতা।
ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-আরজেডি-কংগ্রেস জোট সরকারের মোট বিধায়ক সংখ্যা ৪৭। কিন্তু বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, ৪ জন বিধায়ক জোট সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন। ঘোড়া কেনাবেচা আটকাতে জোট সরকারের পক্ষে থাকা বিধায়কদের তেলেঙ্গানায় রাখা হয়েছিল। গতকাল রাতে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়। সব মিলিয়ে বেশ চাপে ছিলেন চম্পাই সোরেন। কিন্তু আস্থা ভোটে দেখা গেছে শাসক জোটের সকলেই নতুন সরকারকে ভোট দিয়েছেন। সোরেনের বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ২৯।
উল্লেখ্য, ৬০০ কোটির জমি কেলেঙ্কারি মামলার সাথে যুক্ত একটি অর্থ পাচার মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ঝাড়খণ্ডের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করে ইডি। ২ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন হেমন্ত সোরেন সরকারের পরিবহন মন্ত্রী চম্পাই সোরেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন শপথ গ্রহণের পর থেকে ১০ দিন সময় দিয়েছিলেন তাঁকে। দেরি না করে সোমবারই আস্থা ভোটের সিদ্ধান্ত নেন চম্পাই।
আদালতের নির্দেশে ভোট দেওয়ার জন্য বিধানসভায় উপস্থিত হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও। বিতর্কে অংশ নিয়ে গ্রেফতারির নেপথ্যে রাজভবনেরও হাত রয়েছে বলে অভিযোগও করেন তিনি।
এই জয়কে 'জনগণের জয়, ইন্ডিয়া মঞ্চের জয়' বলে উল্লেখ করেছে কংগ্রেস। টুইটারে কংগ্রেস লিখেছে, "স্বৈরশাসকের দাম্ভিকতা ভাঙল ঝাড়খণ্ড। ইন্ডিয়ার জয় হয়েছে, জনগণ জিতেছে। ইন্ডিয়ার জোট সরকার আজ ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় আস্থা ভোটে পাস করেছে। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন। জয় জোহর।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন