গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হলো ঝাড়খণ্ডের সিপিআই(এম) নেতা সুভাষ মুন্ডাকে। বুধবার রাতে নিজের অফিসের মধ্যেই কয়েক জন আততায়ী গুলি করে হত্যা করে তাঁকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে নগড়ি থানার দালাদালি এলাকায় নিজের অফিসে বসে ছিলেন সুভাষ মুন্ডা। সেই সময় বাইকে করে কয়েকজন দুষ্কৃতি এসে তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে রাঁচির একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সাত রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকায় অতন্ত্য জনপ্রিয় ছিলেন বছর ত্রিশের এই সিপিআইএম নেতা। মুহূর্তের মধ্যে তাঁর হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন স্থানীয়রা। পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাঁরা। একাধিক দোকান, গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। একটি দোকানে আগুন লাগিয়েও দেওয়া হয়েছে।
জনগণকে শান্ত করতে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসএসপি, সিটি এসপি, গ্রামীণ এসপি এবং হাতিয়ার ডিএসপি সহ রাঁচির সমস্ত উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। পাঁচ থানা থেকে বিপুল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা কোনও কথায় শুনতে রাজি হননি। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। সিটি এসপির উপরেও হামলা করেছে বিক্ষোভকারীরা বলে জানা গেছে।
সুভাষ মুন্ডা হাতিয়া বিধানসভা থেকে দুইবার সিপিআইএম প্রার্থী হিসেবে এবং সম্প্রতি মান্দার বিধানসভা উপনির্বাচনে সিপিআইএম প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
তরুণ নেতার এভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ড সিপিআইএম রাজ্য কমিটি। এই 'কাপুরুষোচিত জঘন্য হত্যাকাণ্ডের' প্রতিবাদ জানাতে সর্ব স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দলের রাজ্য সচিব প্রকাশ বিপ্লব।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন