ঝাড়খন্ড বিধানসভায় আস্থাভোটে জয়ী হলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। হেমন্ত সোরেন নেতৃত্বাধীন জোট মন্ত্রীসভা এদিন সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অতিক্রম করেন। তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৮টি। আস্থাভোটের আগেই বিজেপি বিধায়করা ওয়াক আউট করে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের অভিযোগ, বিজেপি রাজ্যে সরকার ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিন হেমন্ত সোরেন অভিযোগ করেন, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা রাজ্যের জোট সরকার ফেলার জন্য বিধায়ক কেনাবেচার চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, প্রতি জায়গায় নির্বাচন জেতার জন্য নির্বাচনের আগে বিজেপি দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। দেশে গৃহযুদ্ধের মত অবস্থা তৈরি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে বিজেপির দাবি, হেমন্ত সোরেনের বিধায়কপদ অবিলম্বে খারিজ করা উচিৎ। কারণ তিনি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছিলেন। বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং অবিলম্বে নতুন করে নির্বাচনের দাবিও জানানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ঝাড়খন্ডের রাজ্যপালের কাছে হেমন্ত সোরেন সম্পর্কিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এই বিষয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত রাজ্যপাল কোনো মতামত জানাননি। অনুমান করা হচ্ছে, যে কোনো দিন এই বিষয়ে তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন।
প্রসঙ্গত, ঝাড়খন্ড বিধানসভায় মোট বিধায়কের সংখ্যা ৮১। যার মধ্যে ক্ষমতাসীন জোট সরকারের বিধায়ক সংখ্যা ৫১। যার মধ্যে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়ক সংখ্যা ৩০, কংগ্রেসের ১৮ এবং আরজেডি-র ১ জন, এনসিপি ১ এবং সিপিআইএমএল ১। অন্যদিকে এনডিএ-র বিধায়ক সংখ্যা ২৮। যারমধ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ২৬, আজসুর বিধায়ক সংখ্যা ২। এছাড়াও আছেন দুই নির্দল বিধায়ক। ঝাড়খন্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ৪১ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন