আর্থিক তছরূপের মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন ঝাড়খন্ডের সেই সময়ের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ঝাড়খন্ড হাই কোর্টের দ্বারস্থ হিয়েছিলেন হেমন্ত। সেই মামলায় ইডির কাছে জবাব চাইল ঝাড়খন্ডের উচ্চ আদালত।
ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সুপ্রিমোকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, তার জবাব দিয়ে আগামী চারদিনের মধ্যে ইডিকে রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইডি সেই রিপোর্ট দেবে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রথমে উচ্চ আদালত এবং পরে শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন হেমন্ত। যদিও শীর্ষ আদালত সেই মামলা খারিজ করে দিয়ে হেমন্তকে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি এম এম সুন্দরেশের বেঞ্চ জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের মতো হাইকোর্টও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এই বিষয়ে প্রথমে হাইকোর্টের নির্দেশ জানা প্রয়োজন। ওইদিনই বিশেষ এক আদালত সোরেনের পাঁচদিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল।
সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম জোট সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। ইতিমধ্যেই ভোট শুরু হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ভোট দেওয়ার জন্য বিধানসভায় উপস্থিত হয়েছেন হেমন্ত সোরেনও। বিতর্কে অংশ নিয়ে গ্রেফতারির নেপথ্যে রাজভবনেরও হাত রয়েছে বলে অভিযোগও করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ৬০০ কোটির জমি কেলেঙ্কারি মামলার সাথে যুক্ত একটি অর্থ পাচার মামলায় বুধবার টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর হেমন্ত সোরেনকে হেফাজতে নেয় ইডি। সোরেন ইডি অফিসারদের আগেই জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই অ্যারেস্ট মেমোতে সই করবেন তিনি। সেই মতো তাঁকে সাথে নিয়েই রাজভবনে যান ইডি অফিসাররা। সেখানে ইস্তফা দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন