কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবীতে কৃষক আন্দোলনের ১০৫ তম দিনে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ডাকে হরিয়ানার জিন্দের আলেয়াতে এক মহাপঞ্চায়েতের ডাক দেওয়া হয়। এই মহাপঞ্চায়েতে বক্তব্য রাখেন এআইকেএস-এর সভাপতি ডঃ অশোক ধাওয়ালে। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিকেইউ (একতা উগ্রাহণ) সভাপতি যোগীন্দর সিং, সিটু হরিয়ানা সভাপতি সুরেখা, এআইকেএস হরিয়ানার রাজ্য সভাপতি ফুল সিং শেওখান্ড।
একই দিনে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ঐতিহাসিক বালিয়া জেলায় এক মহাপঞ্চায়েতের ডাক দেওয়া হয়। গত বুধবার এই মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল বালিয়া জেলার চেতন কিশোর সিকন্দরপুর তহসিলে। কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ কৃষক এই মহাপঞ্চায়েতে যোগদান করেন।
এই মহাপঞ্চায়েতে বক্তারা জানান - ১৯৪২ সালের ১৯ অগস্ট ব্রিটিশ রাজ থেকে নিজেদের মুক্ত করেছিল এই বালিয়া। স্বাধীনতা সংগ্রামী মঙ্গল পান্ডে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর – সকলেরই জন্মভূমি এই বালিয়া। আজ সেই ভূমি নরেন্দ্র মোদি সরকারের অবহেলার শিকার। ২০১৩ সাল থেকে রাসরার চিনি কল বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এর ফলে আখ চাষিরা নিজেদের ফসল নিজেরাই বয়ে নিয়ে পাশের ঘোসি এলাকায় নিয়ে যান বিক্রি করার জন্য। কিন্তু বার বার নিজেদের দুর্দশার কথা বলা সত্ত্বেও টনক নড়েনি কেন্দ্র সরকারের।
জেলায় বিজেপি শাসিত সরকার থাকা সত্ত্বেও নিজেদের অভাব অভিযোগের কথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করেন মহাপঞ্চায়েতে যোগদানকারী কৃষকরা। এদিকে, কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষক আন্দোলন ইতিমধ্যেই ১০০ দিন পার করেছে। এখনও অনেক কৃষকই জানেন না এই আইনের প্রভাব কী হতে পারে। তাদের বোঝাতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ৪০ সদস্যের ইউনিয়নের দল সচেতনতা প্রচার চালাচ্ছে।
এই মহাঞ্চায়েতে ১০ হাজার মানুষের যোগদানের আয়োজন করেছিলেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইতের উপস্থিতিতে আরও বেশ কিছু মানুষের জমায়েতের ব্যবস্থা করা হয়। এই মহাপঞ্চায়েতে যোগ দেন প্রান্তিক চাষিরা। যার মধ্যে আজমগড়, দেওরিয়া, বারাণসী, প্রতিবেশি বিহারের বিভিন্ন গ্রামের মহিলারাও ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, ছাত্র নেতা, প্রবীণ নাগরিক প্রমুখরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন