দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) এসএফআই (SFI) ও এআইএসএ (AISA) বাম জোটের সদস্যদের সঙ্গে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন ছাত্র আহত হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এক সেমিনার আয়োজনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (সাউথ ওয়েস্ট ডিস্ট্রিক্ট) গৌরব শর্মা জানিয়েছেন, তারা দুই পক্ষের কাছ থেকেই অভিযোগ পেয়েছেন এবং বর্তমানে ঘটনার তদন্ত চলছে। "এই মামলায় দ্রুত এফআইআর নথিভুক্ত করা হবে।"
আহত ছাত্রদের ছবি শেয়ার করে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ এবিভিপি-র সদস্যদের বিরুদ্ধে ছাত্রদের উপর আক্রমণ চালানোর জন্য এবং বারবার ক্যাম্পাসের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। সূত্র IANS-কে জানিয়েছে, আহত ছাত্রদের মধ্যে কয়েকজনকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিন ঐশী ঘোষ ট্যুইটারে প্রশ্ন করেন, "জেএনইউ প্রশাসন কি এখনও নীরব থাকবে? গুন্ডাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না?"
অন্যদিকে, দক্ষিণপন্থী ABVP-র পক্ষ থেকে বাম ছাত্র সংগঠন SFI এবং AISA-র বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, বাম দলগুলি জেএনইউতে এবিভিপি কর্মীদের শান্তিপূর্ণ সভায় সহিংস আক্রমণ করেছে। "এই হামলায় একজন এমএ ছাত্রের আঙুল ভেঙে গেছে, এক প্রতিবন্ধী ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে, এবং একাধিক এবিভিপি কর্মীকে মারধোর করা হয়েছে।"
এবিভিপি সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এবিভিপির অভিযোগ, "তারা (বাম দলগুলি) বার বার জেএনইউ ক্যাম্পাসের শান্তি নষ্ট করেছে।"
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে "জেএনইউ বাঁচাও" মিছিল করার পরিকল্পনা নিয়েছে৷
অন্যদিকে, এদিনই বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এসএফআই জেএনইউ ইউনিটের পক্ষ থেকে এবিভিপি-র হিংসার প্রতিবাদ জানিয়ে এক প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। গঙ্গা ধাবা থেকে সবরমতী পর্যন্ত এই মিছিল যাবে। মিছিলের এই আহ্বানে এসএফআই-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বছরে তৃতীয় বার ছাত্র সংসদ অফিসে আক্রমণ করার পর আবারও এবিভিপি ক্যাম্পাসের গণতন্ত্র নষ্ট করার খেলায় মেতেছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে এবিভিপি-র এই সন্ত্রাসের প্রতিবাদ জানাই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন